সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: বয়স বাড়লেও কমবে না চোখের জ্যোতি। চেহারায় পড়বে না বার্ধক্যের ছাপ। শুধুমাত্র মুখে মাখতে হবে ৫০০ গ্রাম লঙ্কা! খেতে হবে ন্যূনতম ১ কেজি। এতেই নাকি এড়ানো যাবে হৃদরোগ ও স্নায়ুর সমস্যা। এমনই নিদান নদিয়ার (Nadia) শেখর সিকদারের। তাঁকে টেক্কা দিতে পারলে রয়েছে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের হাতছানিও। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই যুবকের কীর্তি।
বিষয়টা ঠিক কী? নদিয়ার রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের আইসমালি এলাকার বাসিন্দা শেখর সিকদার। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন নিয়ম করে কেজি কেজি লঙ্কা কেনেন তিনি। প্রথমদিকে বিষয়টাকে কেউ বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তীতে নানান প্রশ্ন উঁকি দিতে শুরু করে বিক্রেতাদের মনে। তার পর জানা যায় ঘটনা।
এত লঙ্কা দিয়ে কী করেন শেখর? তিনি জানান, যখন দাম কম থাকে তখন বাটা লঙ্কা মুখে মাখেন। খেলে খা প্রায় কেজিখানেক। তবে দাম যখন বাড়ে সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোয় না। জিভে ঝাল কিংবা মুখে জ্বলন অনুভব করেন না? শেখর বাবুর পালটা প্রশ্ন, “জ্বলবে কেন, অ্যাসিড নাকি? আর স্বাদ বেশ ভালোই।” তাঁর নিদান, “নিয়মিত কাঁচা লঙ্কা বাটা মুখে মাখলে চেহারায় কোনওদিন বয়সের ছাপ পড়বে না। আর নিয়মিত কাঁচালঙ্কা খেলে অটুট থাকবে চোখের জ্যোতি।”
কবে থেকে শেখরবাবুর এই অভ্যাস? ওই ব্যক্তির বৃদ্ধ মা জানাচ্ছেন, “তখন তো এত সব মেশিনপত্র ছিল না। অনেক বড় সংসার বাংলাদেশে। ঢেঁকিতে শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো করে বস্তায়বন্দি করে ঘরে রেখে দিয়েছিলাম। শেখর তখন বছর দুয়েকের। হামাগুড়ি দিয়ে সেই বস্তার কাছে গিয়ে সব শুকনো লঙ্কা বের করে গায়ে মেখে বসেছিল। বাড়িতে তো কান্নাকাটি শুরু। সবাই মিলে দুধ, দই, ঘোল, ঢেলে পরিষ্কার করা হলো। আমরা কেঁদে যাচ্ছি আর ছেলে মুচকি মুচকি হাসছে! তার পর থেকেই একটা দুটো করে লঙ্কা খাই। বড় হওয়ার পর থেকে চুরি করে খেত। এখন তো নিজে আনে নিজেই খায়।” শেখরবাবু সটান চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন সকলকে। তাঁর কথায়, “পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই তার মত লঙ্কা খাওয়ার। যদি কেউ লঙ্কা খান, তাকে টেক্কা দিতে পারেন, তবে তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.