সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে ২০ জনের উপর হামলা চালিয়েছিল। অবিকল দাগি আসামীদের মতোই তার মাথার দাম ধার্য করা হয়েছিল। তাকে ধরতে টানা চার ঘণ্টা ধরে ড্রোন নিয়ে চলল তল্লাশি। অবশেষে ধরা পড়ল ভোপালের মোস্ট ওয়ানটেড। তবে মানুষ নয়, বাঁদর। আপাতত হেফাজতে আটক করে রাখা হয়েছে তাকে। কবে মুক্তি পাবে এই বাঁদর, তা এখনও জানা যায়নি।
ব্যাপারটা ঠিক কী? জানা গিয়েছে, টানা ১৪ দিন ধরে ভোপালের (Bhopal) কাছে রাজগড় টাউনে তাণ্ডব চালায় একটি বাঁদর। অন্তত ২০ জনকে আহত করে সে। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে তাণ্ডবের সেই দৃশ্য। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে ধরতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। জানা গিয়েছে, গুরুতর আহত ২০ জনের মধ্যে ৮ জনই শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন বয়স্করা। এহেন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে বাঁদরটির মাথার দাম ধার্য করা হয় ২১ হাজার টাকা।
হামলাকারী বাঁদরটিকে ধরতে বিশেষ দল গঠন করে স্থানীয় প্রশাসন। খবর দেওয়া হয় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বন দপ্তরকে। তারপরেই বুধবার বাঁদর ধরার অভিযান শুরু হয়। চার ঘণ্টা ধরে ড্রোন ব্যবহার করে বাঁদরের হদিশ মেলে। তারপর ঘুমপাড়ানি গুলি মেরে অজ্ঞান করা হয় তাকে। খাঁচায় ভরে বাঁদরটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বন দপ্তরের হেফাজতে। এই তল্লাশি অভিযানে বন দপ্তরের সঙ্গে ছিলেন সাধারণ মানুষও। অচেতন বাঁদরটিকে দেখে ‘জয় শ্রী রাম’, ‘জয় বজরংবলী’র মতো স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
স্থানীয় কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন বিনোদ সাহু জানান, “বাঁদর ধরার পরিকাঠামো নেই আমাদের কাছে। জেলা কালেক্টরের পরামর্শেই বন দপ্তরের সাহায্য নেওয়া হয়। যে বাঁদর ধরে দিতে পারবে তার জন্য ২১ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার এই অর্থ তুলে দেওয়া হবে বন দপ্তরের হাতে।” একাধিক জেলা থেকে আধিকারিকদের ডেকে বিশেষ দল গঠন করে বাঁদরটিকে ধরা হয়েছে। কয়েকদিন পরে তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে বন দপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.