সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্ভবত তিনিই ছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের (world’s largest family) কর্তা। ৩৮ জন স্ত্রী, ৮৯টি ছেলেমেয়ে ও ৩৩টি নাতিনাতনি নিয়ে তাঁর ভরা সংসার। সেই সংসার ফেলে এবার তিনি পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। তিনি মিজোরামের (Mizoram) জিওনা চানা, ৭৬ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন রবিবার।
তাঁর মৃত্যুতে টুইট করেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। নিজের টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘গভীর বেদনার সঙ্গে মিজোরাম বিদায় জানাচ্ছে ৭৬ বছরের মিস্টার জিওনাকে। সম্ভবত তিনিই ছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের কর্তা। ৩৮ জন স্ত্রী, ৮৯টি ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাস করতেন। তাঁর গ্রাম বাকতাওং তাংনুয়াম রাজ্যের ট্যুরিস্ট আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল তাঁদের পরিবারের জন্যই।’’
With heavy heart, #Mizoram bid farewell to Mr. Zion-a (76), believed to head the world’s largest family, with 38 wives and 89 children.
Mizoram and his village at Baktawng Tlangnuam has become a major tourist attraction in the state because of the family.
Rest in Peace Sir! pic.twitter.com/V1cHmRAOkr— Zoramthanga (@ZoramthangaCM) June 13, 2021
১৯৪৫ সালের ২১ জুলাই তাঁর জন্ম। তাঁর গ্রামে ‘চানা পওল’ ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন তিনি। ওই গোষ্ঠী বহুবিবাহে বিশ্বাসী ছিল। সেই কারণে জিওনা অতগুলি বিয়ে করাটা ওখানে স্বাভাবিকই ছিল। পাহাড়ঘেরা গ্রামটিতে জিওনা ছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়।
কিন্তু অত বড় পরিবারের খাইখরচ কোথা থেকে আসত? জানা গিয়েছে পারিবারিক সম্পত্তির বেশ ভালই ছিল জিওনার। তার সঙ্গে গোষ্ঠীর ভক্তরাও দিতেন ডোনেশন। সব মিলিয়ে সংসার দিব্যি চলে যেত। পেল্লাই এক চারতলা বাড়িতে থাকতেন। জিওনার অতজন স্ত্রী একসঙ্গে দল বেঁধে থাকতেন একটি প্রকাণ্ড ঘরে।
অতজন স্ত্রীর ঝক্কি সামলানো কম কথা নয়। তবু তাঁদের পরিবার থাকত হাসিখুশি হয়েই। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জিওনার শরীর ক্রমেই ভেঙে পড়তে থাকে। ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের অসুখের সঙ্গেই কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। ফলে শারীরিক সমস্যায় নাজেহাল হয়ে পড়েন। অবশেষে রবিবার সব মায়া পিছনে ফেলে আইজলের ট্রিনিটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন জিওনা।
তবু চলে গেলেও কিছু তো থেকে যায়। শক্তি চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘কিছু মায়া রয়ে গেল’। মানুষ চলে গেলেও থেকে তাঁর স্মৃতি ও ফেলে যাওয়া মায়া। আপাতত সেটাই সম্বল বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.