সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাদা গাউন পরে বিয়ের সাজে তৈরি কনে। নাচগান করে বিয়ের আসর জমিয়ে দিলেন স্থানীয়রা। বাজনা বাজিয়ে বরকে স্বাগত জানালেন তাঁরা। রীতি মেনে বিয়ের পর নববধূকে চুম্বনও করলেন বর। এমনটা তো হয়েই থাকে বরাবর। কিন্তু মেক্সিকোর ঘটনায় রয়েছে অন্য চমক। এখানে বিয়ের কনে আর কেউ নয়, সাত বছর বয়সি একটি কুমির! তাকে বিয়ে করলেন মেক্সিকোর (Mexico Mayor) সান পেদ্রো শহরের মেয়র।
‘বিয়ের কনে’ ওই কুমিরটির (Crocodile Marriage) নাম লিটল প্রিন্সেস। সব নিয়ম মেনেই তার বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর পাঁচটা কনের মায়ের মতোই বিয়ের সাজ নিয়ে প্রচুর চিন্তাভাবনা করেছেন লিটল প্রিন্সেসের মা, থুড়ি গডমাদার। লিটল প্রিন্সেসের দেখাশোনা করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এলিয়া নামে এক মহিলাকে। তিনি জানিয়েছেন, “গডমাদারের সম্মান পাওয়া অত্যন্ত ভাগ্যের ব্যাপার। এই দায়িত্ব পাওয়ার যোগ্যতা সকলের থাকে না। এমন সম্মান পেয়ে আমি খবই গর্বিত।”
বিয়ের দিন সকালে রঙিন জামাকাপড় পরিয়ে ‘কনে’ কুমিরটিকে (Alligator) নিয়ে বিয়ের আসরে পৌঁছন সকলে। পথে গানবাজনা করছিলেন তাঁরা। প্রথা মেনে মাথার টুপি খুলে কনেকে থুড়ি কুমিরকে বাতাস করতে থাকেন সকলে। বিয়ের আসরে পৌঁছে প্রথমে খাওয়ানো হয় কনেকে। তারপরে বিয়ের পোশাকে সাজিয়ে তোলা হয়। তারপরে বিয়ের অনুষ্ঠান। শেষে বর-কনের চুম্বন করে অনুষ্ঠান শেষ হয়। তারপর নববধূকে কোলে নিয়ে ছবি তোলেন মেয়র।
কিন্তু এমন অদ্ভুত বিয়ে কেন? মেক্সিকোর সান পেদ্রো শহরের রীতি মেনেই এই বিয়ে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির মিলনের নিদর্শন হিসাবেই এই বিয়ের প্রথা চলে আসছে বহুদিন ধরেই। এই কুমিরকে মনে করা ধরিত্রী মায়ের প্রতীক। তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয় স্থানীয় নেতাকে। যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়, সঠিক ভাবে চাষবাস হতে পারে- এই সব কারণেই বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়। বহু দেশেই এমন নানা প্রথা থাকলেও কালের নিয়মে সেগুলি হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মেক্সিকোর এই অঞ্চলের বাসিন্দারা পুরনো প্রথা মেনে চলতেই পছন্দ করেন বরাবর। তাই আজও ধুমধাম করে মানুষ-কুমিরের বিয়ে হয় সেখানে। যা মনে করিয়ে দেয় রূপকথার কথা। কিন্তু মেক্সিকোর এই প্রথা কোনও রূপকথা নয়। তা নিখাদ বাস্তব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.