সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছেন, ‘টাকা মাটি, মাটি টাকা’। অবশ্য সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী ছাড়া এ বাণীর ধার বড় একটা মাড়ান না কেউই। তবে রাজ-রাজড়ার জমানা পেরিয়ে বর্তমান ভারতে আরও একটি সম্প্রদায় রয়েছে যাঁদের খরচের বহর দেখলে সাধারণ মানুষের চোখ কপালে উঠবে! বিয়ের অনুষ্ঠানে জলের মতো অর্থ ব্যয়ের এমনই এক ছবি এবার দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের মিরাটে। যেখানে ‘বিয়ের পিঁড়ি’তে বসা বরকে নগদে দেওয়া হল ২.৫ কোটি টাকা। জুতো চুরির অনুষ্ঠানে শ্যালিকা পেলেন ১১ লক্ষ। বিরাট বিরাট বাক্স থেকে নোটের বান্ডিল বের করে তা রীতিমতো বিলানো হচ্ছে। টাকা ব্যয়ের এহেন বহর দেখে থ নেটিজেনরা।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় এক ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মুসলিম সম্প্রদায়ের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে চলছে বেলাগাম টাকা বিলি। অনুমান করা হচ্ছে, মীরাটের ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর কোনও রিসর্টে বসেছিল এই বিয়ের আসর। ভিডিওতে কনেপক্ষের তরফে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘গাড়ির মধ্যে ২.৫৬ কোটি টাকা ক্যাশ রাখা রয়েছে। নিয়ে নিন। এর মধ্যে ৭৫ লক্ষ টাকা গাড়ি বাবদ। চাইলে গুনে নিতে পারেন।’ এর পর বরের জুতো চুরির অনুষ্ঠানে শ্যালিকার হাতে ধরানো হয় ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিলে ১১ লক্ষ টাকা। বিয়ের অনুষ্ঠানে নিয়ে আসা হয় বড় বড় বেশ কয়েকটি ট্রলি। যাতে বোঝাই করা ছিল ৫০০ টাকার বান্ডিল।
मेरठ में शादी में करोड़ों रुपए कैश उड़ाने की खबर पुरानी हो गई.. इससे आगे का डेवलेपमेंट सुनिए..
अभी इनकम टैक्स के एक अधिकारी से बात हो रही थी.. सोशल मीडिया पर वायरल वीडियो को इनकम टैक्स के अधिकारियों ने संज्ञान में ले लिया है.. दूल्हे पर करोड़ों रुपए किसने लुटाए!! इतना कैश कहां… pic.twitter.com/nOdoOoKUQJ— Vivek K. Tripathi (@meevkt) December 2, 2024
তবে শুধু বর-কনের আত্মীয়-স্বজন নন, বিয়ের অনুষ্ঠানের পর পাত্রের পরিবারের তরফে কনেপক্ষের হাতে দেওয়া হয় ৮ লক্ষ টাকা। জানানো হয়, এই টাকাটা গাজিয়াবাদের মসজিদে দান করার জন্য। যা দেখে অনুমান করা যায়, কনেপক্ষ উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা। খরচের বহর দেখে অনুমান, এই বিয়েতে সব মিলিয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ওই বিয়েতে উপস্থিত এক যুবক গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করেন। অবশ্য এই বিপুল টাকা লেনদেনের ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হচ্ছে দেখে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেককে। এবং অবিলম্বে ক্যামেরা বন্ধের নির্দেশও দেন এক ব্যক্তি।
ভিডিও ভাইরাল হতেই কমেন্টের ঝড় উঠেছে সোশাল মিডিয়ায়। যেখানে বেশিরভাগেরই দাবি, এই বিরাট অর্থ আসলে কালো টাকা। অবিলম্বে আয়কর বিভাগ ও ইডির এই বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে পড়লেও পুলিশের দাবি, বিয়ের অনুষ্ঠান একটি পারিবারিক বিষয়। কোনও পক্ষের তরফে এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হলে তবেই পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে। তবে মূল্যবৃদ্ধির ভারতে টাকার বর্ষা দেখতেই মশগুল নেটিজেনরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.