জ্যোতি চক্রবর্তী: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ছিল প্রেমিকার। তার জেরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বনগাঁর (Bangaon) যুবককে। অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করতে হবে, এই শর্তেই জামিন মঞ্জুর হয়েছিল। জামিন পেয়ে আর কাল বিলম্ব করেননি যুবক। আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়েই প্রেমিকাকে বিয়ে করেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম কৃষ্ণেন্দু সাহা। বনগাঁ থানার বাবুপাড়া এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্থানীয় কুড়ির মাঠ এলাকার যুবতীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১০ বছরের প্রেম ছিল তাঁদের। অভিযোগ, ছ’মাস আগে কৃষ্ণেন্দুকে বিয়ের কথা বলেন ওই যুবতী। কিন্তু কৃষ্ণেন্দু তখন আপত্তি করেন। যুবতী বিয়ে করবেন না বলেও জানিয়ে দেন। তারপরও যুবতীর বাড়ির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে কৃষ্ণেন্দুর বাড়িতে যাওয়া হয়। দুই পক্ষের মধ্য কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনগাঁ থানার পুলিশ। থানায় কৃষ্ণেন্দুর বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন কৃষ্ণেন্দু সাহার প্রেমিকা। তার জেরেই পুলিশ যুবককে গ্রেপ্তার করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছিল।
শুক্রবার বনগাঁ আদালতের এডিজে শান্তনু মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচার শুরু হয়। অভিযুক্ত কৃষ্ণেন্দু প্রেমিকাকে বিয়ে করার কথা জানিয়ে আদালতে হলফনামা জমা দেন। এই শর্তেই জামিন পান তিনি। সিঁদুর, টোপর, মালা আনাই ছিল। আদালত চত্বরেই সই-সাবুদ করে বিয়ে সারা হয়। তারপর হয়ে যায় মালা বদল ও সিঁদুর দান। বনগাঁ আদালতের সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন “যুবক-যুবতী দু’জনেই বিয়ে করার কথা জানিয়ে আদালতে হলফনামা দিয়েছে। সেইমতো বিয়ে হল আদালত চত্বরে।” বিয়ে হওয়ায় খুশি যুবতী। তাঁর কথায়, কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, তবে তা এখন মিটে গিয়েছে। অর্থাৎ মধুরেণ সমাপয়েৎ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.