ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) নির্দিষ্ট ডোজ নিয়েই থেমে থাকেননি তিনি। তারপরেও বেশ কয়েকবার স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাও প্রায় ৯০ বার। এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে জার্মানির (Germany) ম্যাগডিবার্গ শহরে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত জালিয়াতির উদ্দেশেই এতবার ভ্যাকসিন নিয়েছেন ওই ব্যক্তি। ৯০টি ডোজ (Vaccine Shots) নিয়ে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা কেমন, তা জানানো হয়নি। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ ভ্যাকসিন কার্ড তৈরি করা এবং জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কী ধরনের জালিয়াতি (Forgery) করতেন ওই ব্যক্তি? পুলিশ জানিয়েছে, যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে অনিচ্ছুক, তাঁদের হয়ে ভ্যাকসিন নিতেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। অতিমারীর সময়ে আরও বেশ কয়েকটি দেশের মতো জার্মানিতেও কোভিড পাসের ব্যবস্থা ছিল। ভ্যাকসিন কার্ড অর্থাৎ ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রমাণপত্র দেখালে তবেই পাওয়া যেত অবশ্য প্রয়োজনীয় কোভিড পাস। এই ছাড়পত্র দেখালে তবেই শপিং মল, রেস্তরাঁ, সিনেমা হল ইত্যাদি জায়গায় প্রবেশাধিকার মিলবে। অধিকাংশ অফিসেও এই কোভিড পাস বাধ্যতামূলক ছিল।
কোভিড পাসের জন্য ভ্যাকসিনের ইউনিক ব্যাচ নম্বর দরকার হয়। সেই কাজেই সাহায্য করত এই অভিযুক্ত ব্যক্তি। সে বিভিন্ন কোম্পানির ভ্যাকসিন নিত, তারপরে সেই ব্যাচ নম্বর পাঠিয়ে দিত অন্য কোনও ব্যক্তিকে। সেই নম্বর ব্যবহার করে কোভিড পাস বানিয়ে নেওয়া হত। এই কাজের বিনিময়ে যথেষ্ট অর্থও দাবি করত অভিযুক্ত ব্যক্তি, এমনটাই জানিয়েছে জার্মান পুলিশ। বেশ কয়েকমাস ধরে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল অভিযুক্ত। শেষমেশ ভ্যাকসিন নিতে গিয়েই ধরা পড়ে সে।
বেশ কিছুদিন ধরেই এহেন ভুয়ো ভ্যাকসিন নেওয়ার খবর পেয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। তার মধ্যেই একটি ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে পরপর দু’ দিন দেখা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে (Man)। তা দেখেই পুলিশ আটক করে ওই ব্যক্তিকে। তাঁর কাছ থেকে প্রচুর ভ্যাকসিন কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়। ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে, যদিও তাঁকে আটক করেনি পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.