ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউড ছবিতে যেমন, বাস্তবেও তেমন ঘটে মাঝেমাঝেই। প্রেমিকা ও প্রেমিক একসঙ্গে আত্মঘাতী হন। কিন্তু এক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে ছিল অভাবনীয় মোচড়। প্রেমিকা জলে ঝাঁপ দিয়েই বোঝেন প্রেমিকটি ঝাঁপ দেননি। তবে সাঁতার জানতেন প্রেমিকা। ফলে কোনওরকমে নদী সাঁতরে পারে ওঠেন। এবং পুলিশকে অভিযোগ জানান। প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছেন তিনি । পরকীয়া প্রেমের এমন কাণ্ডের সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজ (Prayagraj)। ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বছর বত্রিশের ওই মহিলা। অভিযুক্ত প্রেমিক চান্দু তাঁর থেকে দুই বছরের ছোট। মাঝে কিছুদিনের জন্য তাঁর ছয় বছরের মেয়েকে নিয়ে পুনেতে বেড়াতে গিয়েছিলেন মহিলা। আর সেই সুযোগে তাঁকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলেন চন্দু। এরপর দু’জনের মধ্যে বিস্তর ঝামেলা হয়। শুরুতে চন্দু জানায়, স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে তাঁকে বিয়ে করবেন। তবে শেষমেশ উভয়ে ঠিক করেন, একসঙ্গে যমুনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হবেন। আর সেখানেই হল চমকে দেওয়া গোলমাল।
প্রেমিকটি যে মনে মনে অন্য ছক কষে রেখেছিল, তা কোনওমতে ভাবতে পারেননি মহিলা। কথা মতো গত ২৯ মার্চ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন যমুনা সেতুতে। এরপর জলে ঝাঁপ দেন মহিলা। মুহূর্তে বোঝেন সঙ্গী ঝাঁপ দেয়নি। নদী সাঁতরে কোনওরকমে পারে ওঠেন মহিলা। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় কয়েদগঞ্জ থানায় পুলিশ। মহিলা প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকার অভিযোগ জানান পুলিশের কাছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান ওই মহিলা হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে প্রেমিক চন্দুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও মোবাইল ফোন নষ্ট করার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। পরকীয়া প্রেমের জেরে আত্মঘাতী হওয়া কিংবা খুনের ঘটনা মাঝেমাঝেই ঘটে থাকে। কিন্তু এই ভাবে প্রেমিকাকে ধোঁকা দেওয়ার ঘটনা শোনা যায়নি তেমন। যার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.