সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতারাতি জলজ্যান্ত ব্রিজের একটা দীর্ঘ অংশ উধাও৷ ঠিক যেন–ছিল রুমাল, হয়ে বেড়াল৷ কিছুক্ষণ আগেও রাশিয়ার উম্বা নদীর উপর এপার-ওপার করার জন্য লোহার সেতুটা দাঁড়িয়ে ছিল৷ পরদিন ভোরে দেখা গেল, মাঝের একটা লম্বা অংশ স্রেফ খাঁ খাঁ করছে৷ নদীর প্রস্থ যতটা, প্রায় সেই অংশটুকুই উধাও৷ এমন একটা ঘটনায় যে যতই রহস্যের গন্ধ পাক না কেন, পুলিশ বলছে, এটা চুরি ছাড়া কিছুই নয়৷
রাশিয়ার মেরু অঞ্চল মুরমানস্ক৷ সেখানে উম্বা নদী৷ হাড়হিম করা ঘন নীল জল বয়ে চলেছে৷ যাতায়াতের সুবিধার জন্য নদীর দুপাশে পিলার দিয়ে তৈরি হয়েছে একটি লোহার সেতু৷ কমবেশি ৭৫ ফুট হবে তার দৈর্ঘ্য৷ মে মাসের গোড়ার দিকে একদিন হঠাৎ দেখা গেল, সেতুর মঝে প্রায় ৫৬ ফুট অংশ স্রেফ ‘নেই’ হয়ে গিয়েছে৷ নিচে নদীর দিকে তাকিয়ে দেখা যায়, নদীর জলে ভাসছে ব্রিজের লোহার টুকরো৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, সেতুটি কোনও কারণে মাঝখান থেকে ভেঙে পড়েছে৷ যদিও তা নিয়েও সংশয় ছিল তদন্তকারীদের৷ শুধু মাঝের এতটা অংশই ভাঙল কী করে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যখন দিশেহারা গোয়েন্দারা, তখনই আবার পরিস্থিতি পালটে গেল৷
পরেরদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, লোহার টুকরোগুলো নদীর জলে আর নেই৷ নদী একেবারে স্বচ্ছ, টলটলে৷ অর্থাৎ কেউ বা কারা সেসব পরিষ্কার করে নিয়ে গিয়েছে৷ যদি তাই হয়, তবে সেসব টুকরোগুলো জমা পড়ার কথা পুলিশের দপ্তরেই৷ কিন্তু তা পড়েনি৷ তাহলে কি কেউ রাতের অন্ধকারে লোহার টুকরোগুলো সরিয়ে নিল? এই উত্তরের যুক্তি বরং অনেক জোরালো বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা৷ আর তা থেকেই তাঁদের ধারণা আরও জোরদার হচ্ছে, ঘটনায় কোনও রহস্যই নেই৷ ওটা স্রেফ চুরি হয়েছে৷ কিরোভস্ক পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়ার তরফে একটি পোস্ট করে বলা হয়েছে, ‘ব্রিজের অংশটা অজ্ঞাতপরিচয় কেউ বা কারা নিয়ে গিয়েছে৷ কোথাও কোনও অংশের টুকরো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না৷ দুর্ঘটনার ফলে এমনটা হয় না৷’ তাহলে কি লোহাচোরেদেরই কাজ এটা? তদন্তের অন্তিম রিপোর্টে তা নিশ্চই জানা যাবে৷ তবে তার আগে ব্রিজটা ভেঙে যাওয়ায় মানুষজন বড়ই সমস্যায় পড়েছেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.