সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্যুৎ দপ্তরের বিলে গোলমালের ঘটনা নতুন না। অতিরিক্ত বিল নিয়ে মাঝেমাঝেই অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। তথাপি এই ঘটনা যাকে বলে ‘জোর কা ঝটকা’! ফলে বিল দেখে অসুস্থই হয়ে পড়লেন প্রবীণ গৃহকর্তা। এমনকী তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ওই পরিবারের কাছে এক মাস বাবদ বিদ্যুতের বিল (Electric Bill) আসে ৩ হাজার কোটি টাকা। প্রিয়াঙ্কা গুপ্তার নামে এসেছিল বিল। যা দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর শ্বশুর। পরে অবশ্য ভুল বিল সংশোধন করে নতুন বিল পাঠায় রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তর।
গোয়ালিওর (Gwalior) শহরের শিব বিহার কলোনির বাসিন্দা পরিবারটি। ক’দিন আগেই জুলাই মাসের বিদ্যুতের বিল পান তাঁরা। দেখা যায় বকেয়া বিলের পরিমাণ ৩৪১৯ কোটি টাকা। বিল দেখে চমকে যায় গোটা পরিবার। প্রিয়াঙ্কার স্বামী সঞ্জীব কনকনে দাবি করেন, এত বিল দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাঁরা বিদ্যুৎ দপ্তরের পোর্টাল সার্চ করেন। যদিও টাকার অঙ্ক সেখানেও একই ছিল। বিশাল অঙ্কের এই বিল দেখেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সঞ্জীবের বাবা। এমনকী তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে।
পরে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ জানান সঞ্জীব। এরপরেই বিল সংশোধন করা হয়। দেখা যায় চলতি মাসে তাঁদের বিল হয়েছে মোটে ১৩০০ টাকা। পরে গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়া মধ্যপ্রদেশ বিদ্যুতের দপ্তরের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়। মধ্য ক্ষেত্র বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার নিতিন মাঙ্গলিক স্বীকার করেন, দপ্তরের কর্মীদের ভুলের কারণেই বিশাল অঙ্কের বিল পাঠান হয়েছিল। তিনি ব্যাখ্যা করেন, “বিল তৈরির সময় এক কর্মী ভুল করে ইউনিট কনজিউমের জায়গায় কনজিউমার নম্বর বসিয়ে দেন। যার জেরে টাকার অঙ্ক ওই পরিমাণে পৌঁছায়। পরে ১৩০০ টাকার বিল পাঠানো হয়েছে পরিবারটিকে।”
এই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রদ্যুমন সিং তোমারও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভুল সংশোধন করা হয়েছে। তদন্ত করে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.