সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাসে নাম লেখাতে চলেছে লন্ডন। বিশ্বের প্রথম ৩৬০ ডিগ্রি ইনফিনিটি পুলের নকশা তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তারা। সবচেয়ে আজব ব্যাপার, এই সুইমিং পুলে নামার, কোনও রাস্তা নেই। কিন্তু তাহলে লোকে সাঁতার কাটে কী করে? উপায় যে নেই, তা নয়। আর সেখানেই এর প্রস্তুতকারকের ইউনিক ভাবনার পরিচয় মেলে।
৫৫ তলা বিল্ডিংয়ের উপর তৈরি হতে চলেছে এই সুইমিং পুলটি। এর মেঝে ও চারপাশ ট্রান্সপারেন্ট। যেহেতু সুইমিং পুলের মেঝে ট্রান্সপারেন্ট, স্বাভাবিকভাবে বহুতলের ছাদটিও ট্রান্সপারেন্ট। যাতে নিচ থেকে সাঁতারু ও আকাশ একসঙ্গে দেখা যায়, তাই এই বন্দোবস্ত। এই আশ্চর্য সুইমিং পুলটি তৈরি করছে কম্পাস পুল। এখানকার ডিজাইনার ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর অ্যালেক্স কেমসলে বলেছেন, তাঁরা যখন এটি নির্মাণের কথা ভাবেন, তখন মাথায় রেখেছিলেন এখানে যারা স্নান করবে, তারা যেন একসঙ্গে পুলের নিচ ও আকাশ দেখতে পায়। তাই এই ব্যবস্থা।
[ আরও পড়ুন: এবার পর্যটকদের জন্য মহাকাশ ভ্রমণের বন্দোবস্ত করছে নাসা, কত খরচ জানেন? ]
কিন্তু এই সুইমিং পুলে প্রবেশ করা যায় কীভাবে? চারদিন যখন বন্ধ, উপর খোলা, তখন ঢোকা বেরনোর তো পথ নেই। এর এক অদ্ভুত উপায় বের করেছে কম্পাস পুল। তারা জানিয়েছে, এই সুইমিং পুলে প্রবেশ করতে বা পুল থেকে বের হতে গেলে একটি ঘোরানো সিঁড়ির সাহায্য নিতে হবে। ঠিক সাবমেরিনের মতো। এই একটি ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে সাঁতারুদের জলে যেতে ও জল থেকে বেরোতে পারবে।
কেমসলে জানিয়েছেন, এই পুলটি তৈরি করতে গিয়ে তাঁদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার মধ্যে টেকনিক্যাল সমস্যাই ছিল প্রধান। প্রথমে ভাবা হয়েছিল বহুতলের বাইরে থেকে একটি সিঁড়ি বানানো হবে, তার সাহায্যেই লোকে পুলে নামতে ও পুল থেকে উঠতে পারবে। কিন্তু তিনি এই উপায় চাননি। কারণ এতে সৌন্দর্য নষ্ট হবে। তাই অনেক ভেবেচিন্তে সাবমেরিনের কথা মাথায় আসে। সাবমেরিনের নকশাই তাঁদের সমাধান সূত্র বাতলে দেয়।
[ আরও পড়ুন: একদিনের জন্য বিয়ে করতে চান! মিলবে মধুচন্দ্রিমার সুযোগও, জানেন কোথায়? ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.