Advertisement
Advertisement

Breaking News

26/11 attack

২৬/১১ হানায় শহিদ জওয়ান, বীর সন্তানের নামে গ্রামের নামকরণ মহারাষ্ট্রে

ছেলের নামেই গ্রামের নামকরণ, গর্বিত জওয়ানের বাবা।

Locals rename village after martyr of 26/11 attack | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:November 25, 2022 4:32 pm
  • Updated:November 25, 2022 4:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক ১৪ বছর আগে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠেছিল মুম্বই। আতঙ্কে কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। ২৬/১১র (26/11 Attack) সেই দুঃস্বপ্নের ১৪ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের দিনই চর্চায় উঠে এল মহারাষ্ট্রের একটি গ্রাম। পাকিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন এই গ্রামের সন্তান। তাঁর নামেই গ্রামের নামকরণ করলেন বাসিন্দারা। সবেমাত্র নাম বদলের সরকারি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে নাম বদলের অপেক্ষা।

মহারাষ্ট্রের সুলতানপুর গ্রামেই (Maharashtra Village) জন্ম রাহুল শিণ্ডের। এই গ্রামেই বড় হয়ে এসআরপিএফে যোগ দেন তিনি। মুম্বইয়ের তাজমহল প্যালেস হোটেলে গুলি চলার খবর পেয়ে সবার আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল তাঁর ব্যাটেলিয়ন। জঙ্গিদের নিকেশ করতে গিয়েই রাহুলের পেটে গুলি লাগে। সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। ভারত সরকারের তরফ থেকে তাঁকে মরণোত্তর সম্মান জানানো হয়। প্রেসিডেন্টস পুলিশ মেডেল দেওয়া হয় রাহুলকে। তাঁর স্মৃতিতেই সুলতানপুর গ্রামের নাম হবে রাহুল নগর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বিবাহিত মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক হলে তা ধর্ষণ নয়’, রায় কেরল হাই কোর্টের]

তারপরেই সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁদের বীর সন্তানের নামেই পরিচিত হোক এই গ্রাম। সুলতানপুর গ্রামে এক হাজার মানুষ বসবাস করেন। শহিদ রাহুলের বাবা সুভাষ শিণ্ডে জানিয়েছেন, “সরকারি ভাবে গ্রামের নাম পালটানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ ঠিক করে নাম বদলে দেওয়া হবে। গত দশ বছর ধরে এই দিনের জন্য অপেক্ষা করেছি আমি। অনেক দৌড়ঝাঁপের পরে অবশেষে নাম পাল্টানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সম্মতি পাওয়া গিয়েছে। বাবা হিসাবে আমার গর্ব হচ্ছে এইদিনের জন্য।”

দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন পুত্র রাহুল। সেই কারণে দুঃখের চেয়েও গর্ব অনুভব করেন তাঁর বাবা। তবে পুত্রশোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি রাহুলের মা। ছোট ছেলে ও মেয়েকে আঁকড়েই বেঁচে রয়েছেন সুভাষরা। তবে এতদিন পরে ছেলের নামে গ্রামের নামকরণ করতে পেরে খুবই খুশি তিনি। ২০১০ সালে ছেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি মেমোরিয়ালও বানিয়েছেন পেশায় চাষি সুভাষ। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন দেশের হয়ে আত্মত্যাগ করতে উদ্বুদ্ধ হয়, সেই জন্যই এই মেমোরিয়াল বানিয়েছেন তিনি। এবার গ্রামের সঙ্গে জুড়বে পুত্রের নাম, অপেক্ষায় গর্বিত বাবা।

[আরও পড়ুন:সৌদি যুবরাজকে ভিসায় ছাড়পত্র দেওয়ার প্রসঙ্গে মোদির উদাহরণ কেন, আমেরিকার প্রতি রুষ্ট ভারত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement