Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kerala

জল, খাবার ছাড়াই লিফটের ‘অন্ধকূপে’ নিদ্রহীন ৪২ ঘণ্টা, ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শোনালেন প্রৌঢ়

একপাশে প্রস্রাব করে অন্য পাশে বসে থেকেছি, জানান প্রৌঢ়।

Kerala man was stuck in a lift for long 42 hours
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:July 16, 2024 8:14 pm
  • Updated:July 16, 2024 9:10 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুঃস্বপ্নেরও ভালো দিক আছে। ঘুম ভাঙলে দুঃস্বপ্নও ভেঙে যায় একসময়। কিন্তু বাস্তবই যখন দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে তখন সেই অবকাশ থাকে না। সম্প্রতি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন ৫৯ বছরের প্রৌঢ় রবীন্দ্রন নায়ার। এক-দু’ ঘণ্টা নয়, টানা ৪২ ঘণ্টা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের লিফ্‌টে আটকে ছিলেন তিনি। নিখোঁজ হন শনিবার দুপুরে। শেষমেশ সোমবার সকালে লিফটের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তির পর সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শুনিয়েছেন রবীন্দ্রন। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা?

ঘটনাটি কেরলের (Kerala)। উল্লুরের বাসিন্দা রবীন্দ্রন স্থানীয় সিপিআই নেতা। তিরুঅনন্তপুরমের একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের লিফটে আটকে পড়েন তিনি। শনিবার চিকিৎসার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রন অভিযোগ করেন, লিফটে আটকে পড়েছেন বুঝতে পেরে বারবার আপৎকালীন বোতাম টেপেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনও সাড়া মেলেনি। এমনকী লিফটের ভিতরে থাকা একাধিক হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেও সুরাহা হয়নি। উদ্ধারে এগিয়ে আসেননি কেউ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রেজিনগরে জাতীয় সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু প্রৌঢ়ের, পথ অবরোধ-বিক্ষোভে উত্তপ্ত এলাকা]

লিফটের ভিতরেই দুদিন কেটে যায় রবীন্দ্রনের। এক সময় মোবাইল ফোনের চার্জ ফুরিয়ে যায়। সঙ্গে খাবার কিংবা জলের বোতল ছিল না। ফলে খিদে ও তেষ্টায় কষ্ট পেতে থাকেন তিনি। দু’রাত চোখের পাতা এক করতে পারেননি। সবচেয়ে বড় কথা, লিফ্‌টে ছিল না আলো কিংবা পাখাও। কেবল হাওয়া ঢোকার এক চিলতে জায়গা ছিল, তাতেই অক্সিজেন মিলছিল কিছুটা। বাধ্য হয়ে লিফটের এক কোণে প্রস্রাব করেন, বসেছিলেন অন্য পাশে। তেষ্টা পেলে ঠোঁট চেটে তেষ্টা মেটানোর চেষ্টা করেন রবীন্দ্রন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১৮ বছরেই ইউটিউব দেখে বোমা তৈরিতে দক্ষ! জয়নগরে ধৃত তরুণের বয়ানে তাজ্জব পুলিশ]

কাজের সূত্রে রবীন্দ্রনকে মাঝেমাঝে বাইরে যেতে হয়। ফলে শনিবার তিনি বাড়ি না ফিরলেও চিন্তিত হননি পরিবারের লোকেরা। কিন্তু রবিবারেও ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রবিরার বিকেলে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর পরিবার। এর পর সোমবার লিফটের কর্মীরা নিয়মমাফিক তদারকি করতে গিয়ে রবীন্দ্রনকে উদ্ধার করেন। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। এদিকে ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। স্বাস্থ্য দপ্তর লিফটের দুই অপারেটর এবং এক ডিউটি সার্জেন্টকে সাসপেন্ড করেছে। মূলত তাঁদের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ। যদিও আপৎকালীন নম্বর সক্রিয় ছিল না কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ