সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে গরু হল গো-সম্পদ। দুধ থেকে গোবর, সনাতন গৃহস্থ জীবনে অতি জরুরি। তাই এককালে যার যত গরু সে তত ধনী বলে মনে করা হত। একই কারণে গরু গোমাতাও বটে। ভক্তি ভরে গোমাতার পুজো হয়ে থাকে এদেশে। সেই পুজোতেই ঘটল চরম বিপত্তি। সোনার হার গিলে ফেলল এক গোমাতা। তারপর কী হল?
উত্তর কর্ণাটকের (Karnatak) একটি গ্রাম হল সিরসি তালুক (Sirsi Taluk)। এই গ্রামে গরুকে লক্ষ্মীর রূপ বলে মনে করা হয়। ফলে নিয়ম করে পুজোও হয় গোমাতার। পুজোয় ফুল দিয়ে সাজানো হয় গোমাতাকে। শুধু তাই নয়, গলায় পরানো হয় সোনার হার (Golden Chain)। পুজো শেষে খুলে নেওয়া হয় সেই হার। মাস খানেক আগে সেই রীতি মেনেই গোমাতার পুজো করছিলেন সিরসি তালুকের হিপানাহাল্লির বাসিন্দা শ্রীকান্ত হেগড়ে। শ্রীকান্তর গোয়ালে রয়েছে চার বছর বয়সি একটি গরু ও একটি বাছুর।
নিয়ম মতো চার বছরের গরুটির পুজো চলছিল শ্রীকান্তর বাড়িতে। গরুটির গলায় পরানো হয়েছিল ২০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার হার। পুজো শেষে হারটি খুলেও নেওয়া হয়। তবে তা খোলার পর রাখা হয়েছিল ফুল রাখার পাত্রে। সেই পাত্র থেকে ফুল খাওয়ার সময় হারটিকেও গিলে ফেলে গরুটি। যদিও গরুটি যে হার খেয়ে ফেলেছে তা প্রথমে বুঝতে পারেনি হেগড়ে পরিবার। পরে সকলেই সন্দেহ করে গরুটিই কোনওভাবে হার খেয়ে ফেলেছে। এরপরই শুরু হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পালা, নজর রাখা হচ্ছিল গরুটির দিকে, গোবর ঘেঁটে দেখা হচ্ছিল নিয়মিত। কিন্তু দিনের পর দিন চলে গেলেও হারের খোঁজ মিলছিল না।
এভাবে মাস খানেক অতিবাহিত হওয়ার পর পশু চিকিৎসকের কাছে যায় পরিবারটি এবং বিস্তারিতভাবে জানায়। চিকিৎসক মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করে দেখে জানান, সোনার হারটি গরুর পেটেই রয়েছে। গরুর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে এই বিষয়ে নিশ্চিত হন চিকিৎসক।
এরপরেই অপারেশন করে গরুর পেট থেকে বের করা হয় সোনার হারটিকে। তবে ২০ গ্রামের হার গরু খেয়ে ফেললেও পেট থেকে বের করা হয় ১৮ গ্রামের হার। পশু চিকিৎসক জানিয়েছেন, সোনার হারটির বাকি অংশ গরু পেটে রয়ে গিয়েছে। আপাতত তা খুঁজে পাওয়া কঠিন। এদিকে চিকিৎসক চিন্তায় ছিলেন গরুটিকে নিয়েও। জানা গিয়েছে, অপরেশনের ঝক্কি সামলে গোমাতা ধীরে ধীরে ভাল হয়ে উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.