সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুয়োও পড়ে গিয়েছে হস্তিশাবক। তা দেখেই কুয়োর পাশে ভিড় হয়ে যায় স্থানীয়দের। এত ভিড় দেখে ভয় পেয়ে যায় হস্তিশাবক। তাই কুয়ো থেকে বেরনোর চেষ্টার পরিবর্তে আতঙ্কে জড়োসড়ো হতে থাকে সে। বনকর্মীরাও বিশালাকার হস্তিশাবককে ছোট্ট কুয়ো থেকে কীভাবে উদ্ধার করবেন, সেই রাস্তা খুঁজে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে আচমকাই উপস্থিত বুদ্ধির উদয়। হস্তিশাবককে উদ্ধার করতে আর্কিমিডিসের সূত্রকেই কাজে লাগালেন গ্রামবাসী এবং বনকর্মীরা।
Heartwarming pictures of how intelligently the team @dfogumla and villagers using Archimedes’s physical law of buoyancy save an elephant calf who had fell in a well. They pumped water into well to float the elephant to surface. Great work. @Forest_Dept_GOJ pic.twitter.com/DP8ydrctsp
— Ramesh Pandey IFS (@rameshpandeyifs) January 30, 2020
হাতির আয়তনের তুলনায় কুয়ো ছোট। তাই সোজাভাবে দড়ি বেঁধে তাকে টেনে তোলা সম্ভব নয়। তখনই ঝাড়খণ্ডের গুমলার বাসিন্দাদের মনে পড়ে আর্কিমিডিসের সূত্রের কথা। সূত্র বলছে, কোনও বস্তুকে স্থির তরল অথবা বায়বীয় পদার্থে আংশিক বা সম্পূর্ণ নিমজ্জিত করলে বস্তুটি কিছুটা ওজন হারায়। এই হারানো ওজন বস্তুটির দ্বারা অপসারিত তরল বা বায়বীয় পদার্থের ওজনের সমান। সেই মতো প্লবতা সূত্রকে কাজে লাগিয়েই হস্তিশাবককে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন বনকর্মী এবং স্থানীয়রা। বাইরে থেকে জল কুয়োর ভিতরে ঢালা হয়। তাতেই ভেসে ওঠে হস্তিশাবক। এই পদ্ধতিতেই ঘণ্টাখানেকের মধ্যে খুব সহজেই বিশালাকার ওই বন্যপ্রাণীকে কুয়ো থেকে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়।
হস্তিশাবককে উদ্ধারের ভিডিও এবং ছবি পোস্ট করেন বনাধিকার রমেশ পাণ্ডে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে বিশেষ সময় লাগেনি। সিংহভাগ নেটিজেনের টাইমলাইন দখল করে নেয় হস্তিশাবক উদ্ধারের ছবি এবং ভিডিও। হস্তিশাবককে উদ্ধারে বনকর্মীদের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করছেন প্রায় সকলেই। ভিডিও মন ছুঁয়ে গিয়েছে বনকর্মীদের।
#sbo_gumla pic.twitter.com/WsQd7vMnfK
— nawal kishor (@nawalkishor2323) January 30, 2020
অনেকেই বলছেন, “ছোটরা আর্কিমিডিসের প্লবতা সূত্র অনেক সময়ই মনে রাখতে পারে না। তাই এই ভিডিও দেখিয়ে তাদের শেখানো সম্ভব। হয়তো এই ভিডিও দেখলে খুব সহজেই ছোটরা প্লবতা সূত্র মনে রাখতে পারবে।”
Smart thinking by the team @dfogumla and villagers … Amazing story to narrate to school children on how they can apply their learning in school to real life :- )
— Sujit Panigrahi (@sujitpanigrahi) January 30, 2020
আবার কেউ কেউ বলছেন, “মানুষ এবং বন্যপ্রাণীর সংঘাত ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সেই পরিস্থিতি গ্রামবাসীরা যে হস্তিশাবক উদ্ধারে এগিয়ে এসেছেন তাই যথেষ্ট। আর্কিমিডিসের প্লবতা সূত্র যে এভাবে কারও প্রাণ বাঁচাতে পারে, তা ভুলেও ভাবিনি।”
The best part is the sensitivity shown towards wild life preservation by the villagers. No doubt heart warming
— Yashovardhan Azad (@yashoazad) January 31, 2020
পশুপ্রেমীরা এই ভিডিও দেখে বনকর্মীদের ধন্য ধন্য করছেন। এভাবে চলতে থাকলে দ্বন্দ্ব নয়। সাধারণ মানুষ এবং বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে বলেই আশা তাঁদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.