সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনেমার চিত্রনাট্যের বাড়া, ‘কাদম্বরী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই’, কতকটা তেমন তেমন জটিলতা দেখা গেল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Curt) এক খুনের মামলায়। ১১ বছরের কিশোরের হত্যা মামলার শুনানিতে হাজির হল ‘মৃত’ কিশোর নিজেই। চিৎকার করে জানাল, ‘আমি বেঁচে আছি হুজুর।’ এইসঙ্গে সে দাবি করল, দাদু ও মামাকে ফাঁসাতে মিথ্যে মামলা করেছে বাবা। কিশোরের বয়ানে বেজায় চমকান বিচারপতিরা। আপাতত রায়দান স্থগিত করেন তাঁরা। ঘটনা যাচাই করতে উত্তরপ্রদেশ সরকার, রাজ্যের পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় থানার আধিকারিককে নোটিশ পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। নেপথ্যর কাহিনিটি ঠিক কী?
যোগীরাজ্যের পিলভিটের বাসিন্দা ওই কিশোর। তার পক্ষের আইনজীবী কুলদীপ জাউহারি বিষটি খোলসা করেন। তিনি জানান, জন্মের কিছুদিন পর ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেই দাদুর (মায়ের বাবা) বাড়িতে বড় হয়েছে ১১ বছরের কিশোর। পণের দাবিতে স্বামীর নৃশংস অত্যাচারের পর স্বামীর ঘর ছাড়েন কিশোরের মা। এমনকী সেই বছরেই অভিযুক্ত স্বামীর মারধরে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল মহিলার।
এর জেরে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কিশোরের দাদু। পালটা ছেলের অধিকার দাবি করে মামলা করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। সেই মামলা নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শ্বশুর ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ তুলে মামলা করে বসেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। যদিও শনিবার ভরা আদালতে দাঁড়িয়ে কিশোর জানিয়ে দিল, দাদু, মামা-সহ অন্যদের ফাঁসানোর জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছে বাবা। অযথা তাকে খুনের মামলা করা হয়েছে। যেখানে সে দিব্য জীবিত। এর পরেই রায়দান স্থগিত করেন বিচারপতিরা। আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশের আগে পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.