Advertisement
Advertisement
নোট

‘আমি করোনা নিয়ে এসেছি’, নোটের তাড়ায় বাঁধা চিরকূট দেখে ছুঁলেন না গ্রামবাসীরা

কে ঘটাল এমন কাণ্ড, তদন্তে নেমেছে বিহার পুলিশ।

'I bring Corona' written on paper tied with notes in Bihar

ছবি:প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 13, 2020 9:39 am
  • Updated:April 13, 2020 9:39 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন: ‘টাকা মাটি, মাটি টাকা।’ মানুষ যতটা এই বাণী মুখে বলেছে, ততটা গ্রহণ করেনি। টাকার জন্যই দলাদলি, হিংসা, বাটপাড়ি, হানাহানি। সে যাই হোক, বিহারের সহর্ষ গ্রামে সেই ‘টাকা মাটি’-র প্রবচনটি বলা চলে পুনর্নির্মিত হল।

বিহারের ছোট্ট গ্রাম। লকডাউন চলছে। রাস্তা প্রায় শুনশান। এই শুনশান রাস্তাতেই নোটের তাড়া পড়ে আছে। জরুরি কাজে বেরিয়ে যেতে-আসতে যারা দেখছে এই দৃশ্য, তারা এও দেখছে কাছাকাছি কোনও মালিক নেই, দাবিদার নেই-তা সত্ত্বেও কেউই নোটে হাত দিতে সাহস পাচ্ছে না! কারণ, নোটের তাড়ার সঙ্গে রয়েছে একটি ছোট্ট চিরকূট। চিরকূট তো নয়, তা বোমার শামিল! যাতে স্পষ্ট হস্তাক্ষরে লেখা: ‘আমি করোনা নিয়ে এসেছি। টাকাগুলো তুলে নাও, নইলে সকলেই বেজায় মুশকিলে পড়বে।’ এ তো রীতিমতো হুমকির সুর। ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোটের বান্ডিল এই মন্দার বাজারে নেহাত কম নয়। বিশেষ করে যখন অনেক সংস্থাই টিমটিম করে চলছে, কেউ অনির্দিষ্টকাল বেতন বন্ধের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, এমনকী, করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক হালহকিকত নিয়ে অর্থনীতিবিদদের চুল পাকছে– সে অবস্থাতেও অর্থের প্রতি এই অনাসক্তি! প্রাণে বাঁচতে লোভের মৃত্যু। সূ্ত্র বলছে, বিহারের মোট তিনটি বাড়ির সামনে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই চিরকূটের হাতের লেখা মিলে গিয়েছে। একজন ব্যক্তিরই কৃতকর্ম বলে ধরে নেওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে জোরকদমেই তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : লকডাউনে জনমানবশূন্য চতুর্দিক, ফাঁকা সময়ে পুল পার্টিতে মাতল ২ বাঁদর]

লকডাউন ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরও মানুষের মন থেকে ভয় নামক জিনিসটি মুছে ফেলা কঠিন। অনেকেই ভীতসন্ত্রস্ত– কোন কোন জিনিসের মাধ্যমে অন্দরমহলে ঢুকে পড়তে পারে করোনা? বিহারের এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই নোটের মাধ্যমে করোনা ছড়াচ্ছে কি না, সে বিষয়ে এলাকাবাসীর দ্বিধা বেড়েছে।

গত মাসে ‘দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’ (সিএআইটি) অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে অনুরোধ করেছিল টাকার মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে কি না, সে ব্যাপারে তদন্ত করে সঠিক তথ্য প্রচার করা হোক। ‘সিএআইটি’ আলাদা করে প্রধানমন্ত্রীকেও এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছিল। টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে– তা এখনও পর্যন্ত এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও এ ব্যাপারে কোনও তথ্য দেয়নি। তবু, বিহারের ওই গ্রামে এখন নিশ্চিতভাবেই টাকা মাটি, মাটি টাকা।

[আরও পড়ুন : ‘হাম হোঙ্গে কামিয়াব’, সহকর্মীদের উৎসাহ দিতে ওয়্যারলেসে গান ধরলেন পুলিশকর্তা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement