Advertisement
Advertisement
Hooghly

জাপানি আম, ভিয়েতনামি কাঁঠাল! বাড়িতেই ‘আন্তর্জাতিক গাছে’র বাগান বানালেন হুগলির যুবক

বাগানে রয়েছে থাইল্যান্ডের এমন এক প্রজাতির আমগাছ যা সারাবছর ফলন দেয়।

Hooghly man planted plants from different countries
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:June 16, 2024 9:09 pm
  • Updated:June 16, 2024 9:11 pm  

সুমন করাতি, হুগলি: জাপানের মিয়াজাকি আম, ভিয়েতনামের কাঁঠাল, আমেরিকান কেন্ট, চ্যাং মাই, বুনাই কিং, ইয়োলো আইভরি কী নেই সম্ভারে! না কোনও আন্তর্জাতিক ফলের মেলা বা উৎসব নয়! নিজের বাগানে প্রায় ২৫ প্রজাতির বিদেশি গাছ লাগিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন হুগলির পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা পার্থ দে। তাঁর বাগানের গাছ ও ফল দেখতে রীতিমতো ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার উৎসুক জনতা। খাদ্যরসিক ও গাছপ্রেমী পার্থবাবু জানিয়েছেন, এই গাছগুলি বাঁচিয়ে রাখাই তাঁর আসল লক্ষ্য।

গঙ্গাপাড়ের পান্ডুয়ার (Pandua) বাসিন্দা পার্থ দে পেশায় কেবল অপারেটর। নেশায় গাছপ্রেমী। বাড়ির ফাঁকা জমিতে তৈরি করেছেন ‘আন্তর্জাতিক গাছের বাগান’। ফল চাষ করে অবসর সময় কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। সেই নেশায় জাপানের (Japan)  মিয়াজাকি থেকে বিভিন্ন বিদেশি আম গাছ লাগিয়েছেন। তাঁর মধ্যে লালচে বেগুনি রঙের মিয়াজাকি আমের (Miyazaki Mango) বাজারমূল্য কেজি প্রতি প্রায় লক্ষাধিক টাকা। সেই গাছের পরিচর্চায় ধরেছে ফলও। শুধু মিয়াজাকি আম নয়, রয়েছে আমেরিকান কেন্ট, চ্যাং মাই, বুনাই কিং, ইয়োলো আইভরির মতো বিদেশি আমের গাছ ও ভিয়েতনামের লাল কাঁঠালও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি! বর্ষা ঢুকবে কবে?]

প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফলের গাছের চারা কিনে বসিয়ে সার, খোল দিয়ে গাছের পরিচর্চাও করেন। পার্থ বলেন, “চারিদিকে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। তাই গাছ লাগানোর সংকল্প করেছি।” তবে ফলের গাছই কেন? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ফল খাওয়াও হল, আবার গাছও হল। তাতে মানুষের উপকারই হবে।” তিনি জানিয়েছেন, বিদেশি এই আম বাগানে থাইল্যান্ডের একটি প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। সেই গাছে সারা বছর ফলন হয়।

পার্থবাবুর এই আমের বাগান আজকের নয়। বছর পাঁচেক আগে তাঁর মাথায় আসে বাড়ির পড়ে থাকা ফাঁকা জমিতে বাগান বানাবেন। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। জঙ্গল পরিষ্কার করে বাগান বানান। শীতকালে নানা ধরনের সবজির পাশাপাশি নামীদামি ফলের গাছ লাগানোর চেষ্টা শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাঁর বাগানে বাড়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছের সংখ্যা। তবে দেশি গাছ নয়, ইচ্ছা হয় বিদেশি গাছের বাগানের। তাঁর সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে।

[আরও পড়ুন: বাজল তোমার আলোর বেণু…বঙ্গে থাইল্যান্ডের মন্দির! প্রস্তুতি শুরু কল্যাণীর এই ক্লাবের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement