সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ফের ধর্মীয় ঐক্যের নজির। দুর্গাপুরে ধর্মীয় বিভেদ ভুলে হিন্দু-মুসলিম সকলে একসঙ্গে চাঁদা দিয়ে তৈরি হল লক্ষ্মী মন্দির। শুধু মন্দির তৈরি করা নয়, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন ধর্মীয় বিভেদ ভুলে সকলে মিলে ধনদেবীর আরাধনার আয়োজনও সারলেন। রবিবার এমনই এক সাম্প্রদায়িক ঐক্যের সাক্ষী থাকল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের তিলাবনী গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দারা সকলে মিলে মেতে উঠলেন পুজোয়।
ধর্মের বিভেদ মুছে হিন্দু-মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লক্ষ্মীমন্দির স্থাপন করে নজির গড়ল দুর্গাপুর- ফরিদপুর ব্লকের তিলাবনী গ্রাম। হিন্দু-মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা একত্রিত হয়ে চাঁদা দিয়ে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়েছিল এই গ্রামে। এবার ধনদেবীর আরাধনায় হিন্দু- মুসলিম সকলকেই চাঁদা দিয়ে তৈরি করল লক্ষ্মীমন্দির। শনিবার এই মন্দির উদ্বোধন করেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়। রবিবার এই মন্দিরে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে হাত লাগান সৈয়দ মইদুল হাসিম ও তাপস বাউড়িরা।
গত ৮ বছর ধরে এই গ্রামে সর্বজনীনভাবে লক্ষ্মীপুজো হয়ে আসছে। আগে বাঁশ-কাপড়ের মণ্ডপ তৈরি হত। সেখানেই হত লক্ষ্মীর আরাধনা। ছিল না স্থায়ী কোনও মন্দির। আর্থিক সংকটের জেরে মন্দির নির্মাণও করতে পারছিলেন না এলাকাবাসী। শেষে বাউরি পাড়ার উদ্যোগে হিন্দু-মুসলিম একত্রিত হয়ে চাঁদা তুলে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে লক্ষ্মী মন্দির নির্মাণ করা হল। রবিবার সেখানেই হল ধনদাত্রীর আরাধনা।
এপ্রসঙ্গে সৈয়দ মইদুল হাসিম জানান, “আমাদের উৎসবে যেমন হিন্দুরা অংশ নেন, আমরাও হিন্দুদের উৎসব বা পুজোয় সমান আগ্রহ ও উৎসাহে অংশ নিই।” তিলাবনি গ্রামের বাসিন্দা বরুণ নায়ক জানান, “ধর্মের বিভেদ কোনও দিনও নেই এই গ্রামে। আমরা সবাই আত্মীয়ের মতো সবার উৎসবেই হাজির থাকি।” ধর্মের বিভেদকে দূরে ঠেলে সব মানুষ মিলেমিশে ফের সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়ল তিলাবনী গ্রাম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.