সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারহাত এক হওয়ার আনন্দই আলাদা। নতুন জীবন শুরুর আগে বড়দের আশীর্বাদ এবং বন্ধুদের শুভেচ্ছা চান দম্পতিরা। জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা রিসেপশনে আমন্ত্রণও জানানো হয় আপনজনদের। কিন্তু শুধু কি বিয়ের আনন্দই সেলিব্রেট করা যায়? বিবাহবিচ্ছেদ হলে যায় না? ডিভোর্স মনে কি কেবলই ডিপ্রেশন? মন খারাপের কাহিনি? তেমনটা যে একেবারেই নয়, সেটাই এবার প্রমাণ করে দিলেন এক মহিলা। স্বাধীন হওয়ার আনন্দে রীতিমতো পার্টিই দিয়ে ফেললেন তিনি।
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! ১৭ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনেই সেলিব্রেশনে মাতলেন ৪৫ বছরের সোনিয়া গুপ্তা। দীর্ঘ তিন বছরের লড়াইয়ের পর অবশেষে ‘স্বাধীন’ হতে পেরেছেন। এই আনন্দেই পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের আমন্ত্রণ জানান তিনি। যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছে জমকালো পার্টির আয়োজনই করেছিলেন সোনিয়া। নিজেও সেজেছিলেন রঙিন পোশাকে। এমনকী ফ্যাশন শোয়ের কায়দায় ‘ফাইনালি ডিভোর্সড’ লেখা স্যাশ গায়ে চাপান তিনি। অতিথিদেরও বলে রেখেছিলেন রঙিন পোশাক পরতে। যতই হোক, আনন্দের অনুষ্ঠানে ম্যাড়ম্যাড়ে সাজ কী পোষায়? পার্টির থিম ছিল ম্যাজিক। সোনিয়া বলছেন, “গত দশ বছর অনেক ঝড় ঝাপটা গিয়েছে। তারপর আমার জীবনে ম্যাজিকটার ভীষণ প্রয়োজন। সেটা আমার প্রাপ্যও বটে।”
২০০৩ সালে পরিবারের তরফে দেখেশুনেই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল সোনিয়ার। বিয়ের পর ব্রিটেন উড়ে যান স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি। মন মড়া হয়েই কাটত দিনগুলো। ভারতে ফিরতে চেয়েছিলেন বারবার। কিন্তু পারিবারিক চাপে তা সম্ভব হচ্ছিল না। বাড়ির লোকদের জানিয়েও লাভ হয়নি। উলটে ভাল মেয়ের মতো মন দিয়ে স্বামীর সংসার করারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
তবে খারাপ দিনে বন্ধুরাই পাশে দাঁড়ান। তাঁদের সাহায্যেই অবশেষে ‘মুক্ত’ সোনিয়া। দুই ছেলেও পাশে দাঁড়িয়েছে মায়ের। আর সেই কারণেই কেক কেটে, পার্টি করে, মন খুলে সেলিব্রেশনে মাতলেন সোনিয়া। সব বিচ্ছেদের কাহিনি সত্যিই মন খারাপের হয় না!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.