শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ফাগুন শেষের আগেই তিস্তার (Teesta River) জল কমতে শুরু করেছে। আর এই কম জলে সাঁতার কাটতে গিয়েই মৎস্যজীবিদের জালে ধরা পড়ল দৈত্যাকৃতির মহাশোল। যার ওজন ৩৬ কিলোগ্রাম। হ্যাঁ, বিশাল এই মহাশোলকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় জলপাইগুড়ির এলাকার স্টেশন বাজারে।
শনিবার সকালে তিস্তার গজলডোবা এলাকায় জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বিশালাকৃতির মহাশোল মাছটি (Snakehead Murrel)। যা নাকি রুই মাছের একটি প্রজাতি। মাছটির ওজন হয়েছে ৩৬ কেজি। গত দুই দশকে এত বড় চেহারার ‘মহাশোল’ মাছ তিস্তা তো বটেই উত্তরবঙ্গের আর কোনও নদীতে ধরা পড়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না স্থানীয়রা। জলপাইগুড়ি স্টেশনের মাছের বাজারের নিলাম ঘরে এই মাছের কেজি প্রতি দাম ওঠে ৫০০ টাকা। ১৮ হাজার টাকায় গোটা মাছ কিনে নেন মাছ ব্যবসায়ী রাজেশ শা।রবিবারের বাজারে যা কেটে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা। সেই অনুযায়ী ব্যবসায়ীর আয় প্রায় ২৮ হাজার টাকা হওয়ার কথা।
এত্ত বড় মহাশোল মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ার খবরে খুশি মৎস্য দপ্তর। জলপাইগুড়ি জেলা মৎস্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুমন সাহা জানান, বড় আকৃতির মাছ ধরা পড়ার অর্থ নদীর মৎস্য ভাণ্ডার অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে। চলতি বছরে রেকর্ড পরিমাণে বোরোলি মাছ হয়েছে। ছোট্ট এই মাছের স্বাদ এতটাই ভাল যে একে উত্তরবঙ্গের ইলিশ আখ্যা দেওয়া হয়।
মৎস্য দপ্তরের কর্তাদের দাবি, লাগাতার প্রচার এবং সচেতনতার কর্মসূচির সুফল মিলছে।নদীর জলে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরার প্রবনতা আগের তুলনায় অনেক কমেছে। বন্ধ হয়েছে জালের বদলে বিদ্যৎ এর ব্যবহার। আর তার ফলেই বাড়ছে মাছেদের সংসার। যার সুফল এবার পাচ্ছেন তিস্তা পারের মৎস্যজীবীরা।
দেখুন ভিডিও
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.