সুকুমার সরকার, ঢাকা: আলিবাবা ও চল্লিশ চোরের গল্প কে না জানে! কিন্তু গল্পের এই চোরদের হার মানাবে বাস্তবের চল্লিশ জন চোর। যারা পরিচিত ‘ভিআইপি’ চোর নামে। ভাবছেন তো কেন এমন নাম। আসলে এরা যে আর ৫টা চোরের মতো নয়। এই চল্লিশ গুণধরের ‘রোজগার’ কেবল চুরিই। অবশ্য চোরাই পণ্য কেনাবেচাও করে তারা। আর তাতেই কেল্লাফতে। থাকে অত্যাধুনিক ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাটে। রীতিমতো প্লেনে চেপে যায় গ্রামের বাড়ি! সম্প্রতি এমনই ‘হাই প্রোফাইল’ চোরেদের দেখা মিলেছে বাংলাদেশে।
জানা গিয়েছে, এঁরা প্রত্যেকেই পেশাদার চোর। এই চক্রের নেতার নাম নোমান। থাকে কক্সবাজারের চকরিয়ার মধ্যম কোনাখালী গ্রামে। কয়েকদিন আগেই একটি চোরাই মোবাইল ফোন কেনাবেচা নিয়ে এক কলেজছাত্রকে খুন করা হয়। সেই খুনের রহস্য ভেদ করতে গিয়ে প্রকাশ্যে আসে এই চমকপ্রদ তথ্য। পুলিশ খোঁজ পায় এই ‘ভিআইপি’ চোরের দলকে। তার পরই এদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় দলের প্রধান নোমান-সহ তিনজনকে। চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দামি দামি মোবাইল ফোন, ল্যাপটোপ-সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস, সোনার গয়না চুরি করে এবং চোরাই জিনিস কেনাবেচা করেই ফুলেফেঁপে ওঠে এই ‘ভিআইপি’ চোরের দল।
এই বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের ডিসি মানস কুমার পোদ্দার বলেন, “কক্সবাজারকেন্দ্রিক যে গ্রুপটির খোঁজ মিলেছে, তাদের মূল পেশা চুরি। তারা এক জায়গায় বেশিদিন থাকে না। দামি ইলেকট্রনিকস জিনিসপত্র চুরি করাই এই চোরদের নেশা। মধ্যম কোনাখালী ও আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে তরুণদের ঢাকায় এনে চোর চক্রে ঢোকানো হয়। তাঁদের অধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৫-এর মধ্যে।” বাকি ‘ভিআইপি’ চোরদের খুঁজতেও তৎপর পুলিশ। ২০১৭ সাল থেকে এই গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় তারা হানা দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.