সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকেই হয়তো হেসে উড়িয়ে দেবেন কথাটা। কিন্তু যাঁরা মানেন তাঁরা জানেন যুক্তির বাইরেও সত্যের অস্তিত্ব রয়েছে। যে সত্য অনেকের কাছেই ভয়ঙ্কর বাস্তব। এমনই ঘটনার সাক্ষী তেলেঙ্গানার কাশীগুড়া গ্রাম। যেখানে আজও কোনও পুরুষের বাস নেই বললেই চলে। থাকেন কেবল মহিলা ও শিশুরা। সন্ধে হলেই যাঁরা একা ঘরের বাইরে বের হতে সাহস পান না। কিন্তু কেন? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে এক মহিলার অতৃপ্ত আত্মা। যার টার্গেট কেবল গ্রামের পুরুষরা। বিশেষ করে যুবকরা।
[জানেন, কীভাবে ঘরোয়া টোটকাতে কাবু করা যেতে পারে ডেঙ্গুকে?]
প্রায় ষাটটি পরিবারের বাস রয়েছে কাশীগুড়া গ্রামে। কিছুদিন আগেও শান্তির পরিবেশ ছিল। বেশিরভাগ ছেলেরা পাথর কাটার কাজ করতেন। তাতেই দিন কেটে যেত। কিন্তু আচমকাই শুরু হয় উপদ্রব। একের পর এক যুবককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রত্যেকের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে প্রত্যেককেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারা হয়েছে। এর পরপরই অনেকে দাবি করেন এক মহিলার আত্মার মুখে পড়েছিলেন তাঁরা। সুন্দরী মহিলার রূপ নিয়ে নাকি আসে ওই অশরীরী। নিশির সেই ডাকই উপেক্ষা করতে পারেননি মৃত যুবকরা। তাই এর চরম মূল্য দিতে হয়েছে তাঁদের।
[ক্লাসরুমে শিক্ষককে বেধড়ক মার ছাত্রের, ভাইরাল ভিডিও]
ঘটনার পর থেকেই ঘরছাড়া গ্রামের পুরুষরা। গ্রামে এখন থাকেন কেবল মহিলারা। দুই-একজন বৃদ্ধও থাকেন বটে কিন্তু সূর্যাস্তের পর তাঁরা ঘরের ভিতরে ঢুকে যান। সারা রাত দরজা-জানলা বন্ধ রাখেন। সকালে সূর্য না ওঠা পর্যন্ত সে দরজা খোলেন না। স্বামী-ভাই-ছেলেদের সুরক্ষার জন্য এই পরিস্থিতি মেনে নিয়েছেন মহিলারা। আগে এই অতৃপ্ত আত্মার কবল থেকে গ্রামকে মুক্ত করতে হবে। এরপরই পুরুষরা প্রবেশ করতে পারবেন বলে মনে করেন তাঁরা। কিন্তু তা কবে হবে সেকথা কেউ জানেন না। অবশ্য অতৃপ্ত ওই আত্মা শিশু কিংবা গ্রামের মহিলাদের এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষতি করেনি। তার যাবতীয় আক্রোশ পুরুষদের প্রতিই। কেন? সে কারণ এখনও পর্যন্ত কেউ জানতে পারেননি।
[বেঙ্গালুরুতে ভাঙল বাড়ি, মৃত্যু আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা-সহ ৭]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.