সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অলস বিকেলে আরাম করে সোফায় বসে মদ্যপান (Wine) করছিলেন ঠাকুমা। পেল্লাই গ্লাস ভরতি সোনালি তরল রাখা সামনের টেবিলে। মুহূর্তটা দারুণ উপভোগ করছিলেন বয়স্ক মহিলা। এমন সময় ছোট্ট নাতির (Grandchild) উৎপাত। ঠাম্মার কাছে আদর খেতে টলমল পায়ে ছুটে গেল সে। কিন্তু তারপর? মোটেই ঠাকুমা-নাতির চিরন্তন আদর-আবদারের চেনা ছবিটা ধরা পড়ল না। মাত্র ৩ সেকেন্ডের ভিডিওয় স্পষ্ট পরবর্তী ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই তা নিমেষে ভাইরাল। ঠাকুমার ভূমিকায় বেশ প্রশ্নও উঠে গিয়েছে।
When you’ve finally become an adult and have your priorities straight. pic.twitter.com/fSSIX2I6XT
— The Cultured Ruffian (@CulturedRuffian) October 12, 2020
কিন্তু নাতিকে দেখে মদ্যপানরত ঠাকুমা কী এমন করলেন যে তাঁকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট নাতি টেবিলে সাজিয়ে রাখা ঠাকুমার সুরাপাত্রটি ধরে টানাটানি করছে। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করছিলেন মহিলা। মজাও পাচ্ছিলেন খুদের কীর্তিতে। সবে হাঁটতে শেখা প্রিয় নাতি যাতে পড়ে না যায়, তার জন্য তাকে একহাতে ধরেও রেখেছিলেন ঠাকুমা।
কিন্তু আচমকা নাতি গ্লাস ধরে এমন টান দিল যে তা পড়ে যাওয়ার জোগাড়। ব্যস, তখন ঠাকুমার ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ দশা। এক হাতে ধরে থাকা নাতিকে ছেড়ে যেই না গ্লাসটি বাঁচাতে গেলেন, ওমনি নাতি ধপাস! মাটিতে পড়ে, ব্যথা পেয়ে তার কান্না আর থামেই না। তবু ঠাকুমার সুরাভরতি গ্লাস তো বাঁচল।
মাত্র তিন সেকেন্ডের এই ভিডিও ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন এক ব্যক্তি। তাতেই স্পষ্ট ঠাকুমা-নাতির এই গল্প। এ কেমন ঠাকুমা যিনি মদের গ্লাস বাঁচাতে গিয়ে নাতিকেই ফেলে দেন? এই প্রশ্নে সরব নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, এই মহিলা তো ভয়ংকর। আবার কারও প্রশ্ন, নিজে যদি একটা ছাদের কিনারে বসে মদ্যপান করতেন, তাহলে কি গ্লাসটি রক্ষা করতে নিজেই পড়ে যেতেন? এমনই নানা নিন্দামূলক মন্তব্যে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা। আবার কেউ কেউ তাঁর এই কাজকে সমর্থন করে লিখেছেন, কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা বেছে নেওয়া অধিকার আছে একজন মানুষের। সে যাই হোক, আপাতত নাতিকে পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচানোর চেয়ে মদের গ্লাস বাঁচানো ঠাকুমা কিন্তু ভাইরাল।
\
As someone who has dropped many a baby, including one of my own…I find this hilarious! 🤣
— Dana Strange (@DanaStrange) October 12, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.