সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।” রবীন্দ্রনাথ লিখিত ছোটগল্প “জীবিত ও মৃত” এবার ইকুয়েডরে (Ecuador)। ‘মৃত্যু’র পাঁচ ঘণ্টা পরে নড়ে উঠল কফিন, ঢালা খুলতেই বেঁচে উঠলেন বৃদ্ধা! দ্রুত তাঁকে কফিন থেকে বের করে তোলা হয় স্ট্রেচারে। অ্যাম্বুল্যান্স ছোটে হাসপাতালের উদ্দেশে। ‘পুনর্জন্মে’ সেখানেই চিকিৎসা চলছে বৃদ্ধার। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ৭৬ বছরের বেল্লা মোন্টায়ার। শুক্রবার ওই হাসপাতাল তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর পরিবারের লোকেরা কফিনবন্দি দেহ নিয়ে আসে কবরস্থানে। বাবাহোয়া শহরে শেষকৃত্যের যাবতীয় রীতি পালনে সময় লাগে ঘণ্টা পাঁচেক। এরপরই জ্ঞান ফেরে বেল্লার। বৃদ্ধার আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা হঠাৎই খেয়াল করেন কফিনটি নড়ছে। কফিন খুলতেই চমকে যান তাঁরা।
দেখা যায় বৃদ্ধা তখনও বেঁচে আছেন। জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন তিনি। প্রাথমিক অভিঘাত সামলে দ্রুত স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করা হয়। ডাকা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। বর্তমানে পুরনো হাসপাতালেই ফেরানো হয়েছে বেল্লা মোন্টায়ারকে, পাঁচ ঘণ্টা আগে যে হাসপাতাল তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল। এমনকী মৃত্যুর শংসাপত্রও দিয়েছিল। অর্থাৎ জীবিত থাকলেও সরকারি মতে মত্যু হয়েছে ইকুয়েডরের বাসিন্দা বেল্লার।
বেল্লার ছেলে বলেন, “কফিন খুলে দেখি মা-র ডান হাত নড়ছে। চোখে বড় বড় করে হা করে নিশ্বাস নিচ্ছেন।” তিনি আরও জানান, তাঁর মা আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছেন। এদিকে চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার পর অস্বস্তিতে পড়েছে ইকুয়েডর প্রশাসন। সরকারি মুখপাত্র ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কীভাবে একজন জীবিতকে মৃত বলে ঘোষণা করা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.