ছবি: জয়ন্ত দাস
ধীমান রায়, কাটোয়া: কথায় বলে চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা। কিন্তু, এ চোরের যে ধরা পড়ারও ভয় নেই! মোবাইল হাতিয়ে নিয়ে আবার ফলাও করে নিজের কীর্তির কথা জানিয়েও গিয়েছে সে। রেখে গিয়েছে একটি চিঠি! চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানের ভাতারে। তদন্তে পুলিশ।
[কর্ণাটকের রাস্তায় লর্ডসের সৌরভকে মনে করালেন বিজেপি নেতা]
ঘটনাটি ঠিক কী? পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বাজারের কলপুকুর পাড় এলাকায় থাকেন বছর পঁচিশের যুবক সজন মিঞা। পেশায় তিনি লটারি বিক্রেতা। দিনদশেক আগে শখ করে একটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন সজন। নতুন ফোন কিনলে যা হয়! রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে স্মার্টফোনটি ঘাঁটাঘাটি করতেন তিনি। দোতলা মাটির বাড়ির একতলা একটি ঘরে থাকেন ওই যুবক। সজন মিঞা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত মোবাইলে ফেসবুক করেন তিনি। এরপর মাথার কাছে টেবিল ফোনটি চার্জে বসিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার সকালে যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন দেখেন, মোবাইল ও চার্জারটি নেই। টেবিলে শুধু সিমকার্ডটি পড়ে রয়েছে। ওই যুবকের দাবি, প্রতিদিন সকালে মোবাইলে অ্যালার্ম শুনে ঘুম থেকে ওঠেন। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সকালে অ্যালার্ম বাজেনি। তাই ঘুম থেকে উঠতেও দেরি হয়ে যায়।
কিন্তু মোবাইলটি গেল কোথায়? যে টেবিলে মোবাইল ও চার্জারটি রাখা ছিল, সেই টেবিলে একটি চিঠি পান সজন। তাঁর চিঠিতে লেখা ছিল, ‘হাই, অ্যাই অ্যাম থিফ। তোমার ফোন চুরি করেছি। বাট টেনশন নট। তোমার ফোন আবার তোমাকে ফেরত দেব একমাস পর। ওয়েট, বাই বাই’। সজন মিঞার দাবি, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, বাড়ির কেউই হয়তো মজা করেছে। কিন্তু, যখন দেখেন বারান্দার দরজা ভাঙা, তখনই আসল ঘটনাটি বুঝতে পারেন সজন। প্রথমে বন্ধুদের সঙ্গে নিজেই মোবাইলটি উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সজন মিঞা। এদিকে অভিনব কায়দায় মোবাইল চুরির ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে।
[ যৌন আকাঙ্খা মেটাতে তুঙ্গে সেক্স ডলের চাহিদা, তৈরি আস্ত পতিতালয়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.