সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যি হল পৌরাণিক কাহিনী! এতদিন বিভিন্ন রূপকথা বা সায়েন্স ফিকশনে নীল ড্রাগনের কথা শোনা গেলেও কেউ কোনওদিন চাক্ষুষ দেখেনি তাকে। ফলে বই বা সেলুলয়েডের মধ্যেই বন্দি ছিল সে। কিন্তু, ২০২০ সালে ঘটনা যাওয়া অনেক অদ্ভুত ঘটনার মাঝে এবার দেখা গেল বহু আলোচিত সেই নীল ড্রাগন (Blue Dragon) কে। যার ছবি পোস্ট হওয়ার পরেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যা দেখে নেটিজেনরা বলছেন, সমুদ্রের সবচেয়ে সুন্দর দেখতে খুনি।
প্রতিদিনের মতো সেদিনও একাই দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের কাছে অবস্থিত ফিশ হোক বিচে ঘুরতে বেড়িয়ে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মারিয়া ওয়েজেন। সৈকতে হাঁটতে হাঁটতে আচমকা বালির উপর নীল রঙের কিছু অদ্ভুতদর্শন ছোট ছোট প্রাণীকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিন স্টারফিশ-সহ বিভিন্ন ছোট ছোট প্রাণীকে সৈকতে পড়ে থাকতে দেখলে ফের সমুদ্রের জলে ছেড়ে দিতেন। কিন্তু, অচেনা এই প্রাণীকে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে যান। তবে একাধিক ছবি তুলতে ছাড়েননি ওই বৃদ্ধা। পরে সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার পাশাপাশি ওই অদ্ভুতদর্শন সামুদ্রিক প্রাণীটিকে নিয়ে গবেষণা করতে শুরু করেন তিনি। আর তখনই জানতে পারে ওই গ্ল্যাকাস আটলান্টিকাস বৈজ্ঞানিক নামের ওই অদ্ভুতদর্শন প্রাণীটিকে নীল ড্রাগন বলেই ডাকেন সমু্দ্র বিজ্ঞানীরা।
এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মারিয়া ওয়েজন জানান, আগে কোনওদিন এই ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী দেখেননি তিনি। তাই প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। পরে প্রায় ২০টি ওই ধরনের প্রাণীকে পড়ে থাকতে দেখে একাধিক ছবি ও একটি ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে দেন। এবিষয়ে পড়াশোনাও শুরু করেন। আর তাতেই জানতে পারেন, সাইজে ছোট হলেও ওই সামুদ্রিক প্রাণীটি প্রচণ্ড বিষাক্ত। কোনওভাবে যদি তার শরীরে থাকা হুলগুলি মানুষ বা অন্য কোনও প্রাণীর শরীরে ফুটে যায় তাহলে সারা শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়বে। মানুষের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটলে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হবে, ত্বকে অ্যালার্জি ও বমি হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.