Advertisement
Advertisement
অনুব্রত

শয়ে শয়ে কাঁকড়া বিছে ঘোরাফেরা করলেও কামড়ায় না, আমরোহার দরগায় ম্যাজিক

এই ‘ম্যাজিক’-এর পিছনে রয়েছে দরগার আদি বাসিন্দা, প্রয়াত সুফি সন্ত শাহ উইলিয়ায়ত!

Devotees throng UP Muslim shrine which defies logic
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 29, 2019 1:06 pm
  • Updated:April 29, 2019 1:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুরবে, ফিরবে। এমনকী সঙ্গেও থাকবে। কিন্তু কামড়াবে না। কারণ সইদ শরফুদ্দিন শাহ উইলিয়ায়তের এই দরগায় কাঁকড়া বিছে কাউকে কামড়ায় না। এটাই এখানকার দস্তুর! যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। যা পড়েছেন, ঠিক পড়েছেন। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় সত্যিই এমন জাদুকরী দরগা আছে, যেখানে শয়ে শয়ে কাঁকড়া বিছে ঘুরে বেড়ায়। আপনি তাদের পাশে বসে থাকলেও তারা কামড়াবে না। হাতে তুলে নিলেও হুল ফোটাবে না। এমনকী, যদি সঙ্গে করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে ইচ্ছা করে, যেতেই পারেন। বাড়িতেও আপনাকে দংশাবে না বিষাক্ত কাঁকড়া বিছের দল।

[আরও পড়ুন: পুলিশ অফিসার বাবাকে কাজে যেতে বাধা খুদের, দেখুন মর্মস্পর্শী ভিডিও]

তবে হ্যাঁ, শেষেরটির ক্ষেত্রে একটা শর্ত রয়েছে। এই দরগা থেকে কাঁকড়া বিছে বাড়িতে নিয়ে যেতে গেলে মানতে হবে নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা। সেই মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই দরগায় ফিরিয়ে দিতে যেতে হবে বিছেটিকে। অন্যথায় ঘটবে বিপত্তি। এক সেকেন্ডেরও বেশি দেরি হলেই বিছে মারবে কামড়। আশ্চর্য হলেও ঘটনাটি সত্যি। অন্তত স্থানীয়রা তো সেটাই বলছেন। তাঁদের দাবি, এই ‘ম্যাজিক’-এর পিছনে রয়েছে দরগার আদি বাসিন্দা, প্রয়াত সুফি সন্ত শাহ উইলিয়ায়ত, যিনি এলাকায় দাদা শাহ উইলিয়ায়ত নামেই পরিচিত। জনশ্রুতি অনুযায়ী, ত্রয়োদশ শতকে এই সুফি সন্ত ইরাক থেকে উত্তরপ্রদেশের আমরোহার এই দরগায় আসেন। কিন্তু প্রবেশাধিকার পান না। তাঁকে বাধা দেন গ্রামেরই অন্য এক সুফি সন্ত, শাহ নাসিরুদ্দিন।

Advertisement

এলাকা থেকে চলে যাওয়ার নিদান দিয়ে নাসিরুদ্দিন তাঁকে বলেন, এখানে তিনি থাকতে পারবেন না। কারণ, এলাকার সাপ-বিছে তাঁকে এখানে থাকতে দেবে না। তখন প্রত্যুত্তরে শাহ উইলিয়ায়ত বলেন, ‘‘আমি যেখানে থাকব, সেখানে সাপ-বিছে কখনও আমাকে বা অন্য কাউকে কামড়াবে না।” তার পর থেকেই ওই দরগায় যেই আসুক, কাউকেই কাঁকড়া বিছে কামড়ায় না, স্মৃতি রোমন্থন করে জানালেন দরগার বর্তমান ‘খাদিম’।

[আরও পড়ুন: OMG! মানুষের মতোই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে মগ্ন শিম্পাঞ্জি, দেখুন ভি়ডিও]

কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? কোন জাদুবলে বিছে তার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি ভুলে যায়? আবার দরগা ছেড়ে অন্যত্র গিয়েও সে হুল ফোটাতে ভুলে যায় কী করে? এক পক্ষের দাবি, সবটাই দাদা শাহ উইলিয়ায়তের কৃপা। আর দ্বিতীয় পক্ষের নিরিখে, এর পিছনে থাকতে পারে কৌশল। হাসান আসকরি নামে এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর যুক্তি, “এই দরগায় কাঁকড়া বিছে না কি কামড়ায় না! হতে পারে এই দরগায় ঘোরাফেরা করা সব কাঁকড়া বিছের বিষ আগে থেকে বের করে নেওয়া হয়। তাই তারা কামড়ায় না।” তবে সত্যিটা যাই হোক না কেন, চূড়ান্ত নাটকীয় ভোট বাজারেও যেভাবে আমরোহার আকর্ষণ ধরে রেখেছে এই জাদুকরী দরগা আর তার অভিনব কাঁকড়া বিছের দল, তাতেই স্পষ্ট–এ ভূভারতে এখনও অনেক কিছুই আপনার চাক্ষুষ করা বাকি!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement