সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ৩০ বছরের মহম্মদ আরিফ ও এক বিরল প্রজাতির সারস। এই দু’জনের ‘বন্ধুত্বে’র খবর এখন গোটা দেশ জানে। গত ২১ মার্চ পাখিটিকে আরিফের কাছ থেকে নিয়ে যায় বন দপ্তর। পাখিটিকে নিজের কাছে রাখার জন্য আরিফ পড়েছেন বড়ই মুশকিলে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের তো হয়েছেই। দিতে হতে পারে বড় জরিমানাও।
কিন্তু যে সারসকে কাছে রাখার জন্য এমন বিপদে পড়তে হল উত্তরপ্রদেশের কৃষককে, তার কী অবস্থা। জানা গিয়েছে, সে বিষণ্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায় ৪০ ঘণ্টা সে কিছুই মুখে তোলেনি। কানপুরের এক চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। সেখানে ২ কেজি জ্যান্ত মাছ খেতে দেওয়া হয়েছিল সারসটিকে। কিন্তু ঠোঁটে কুটোটিও ছোঁয়ায়নি। অনেক পরে রবিবার সন্ধেবেলায় তাকে অবশেষে খেতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সে মানুষের সান্নিধ্য পেতে চাইছে। সাধারণ বন্য প্রাণীরা মানুষ দেখলে উলটো পথ ধরে। কিন্তু এই বিরল প্রজাতির পাখিটি মানুষ দেখলেই সেদিকে যেতে চাইছে। হয়তো খুঁজছে আরিফকে। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের আশা, ধীরে ধীরে সে মানিয়ে নেবে।
১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ আইনের অধীনে মামলা রুজু হয়েছে আরিফের বিরুদ্ধে। তাঁকে জরিমানাও করা হতে পারে। যদিও আরিফের দাবি, ”আমি পাখিটিকে বেঁধে রাখিনি। ও আমার সঙ্গেই থাকত। এটা আমার ভুল হয়েছে। কিন্তু আমি সারসটির শুশ্রুষা করেছিলাম। ওকে জঙ্গলেও ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ততদিনে ও আমার বন্ধু হয়ে উঠেছিল। তাই আমাকে ছেড়ে যেতে চাইত না।”
উল্লেখ্য, গত বছরই খেত থেকে আহত সারসটিকে (Sarus Crane) উদ্ধার করেছিলেন আরিফ। তারপর পাখিটিকে শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তোলেন তিনি। সেই শুরু এক অভাবনীয় বন্ধুত্বের। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক ভিডিও। গোটা দেশ মুগ্ধ হয় মানুষ ও না-মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া বন্ধুত্ব দেখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.