সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যজিৎ রায়-সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় জুটির অরণ্যের দিনরাত্রি ছবির এক দৃশ্যে নেশাগ্রস্ত শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের সংলাপ ছিল, “চাকরি ছাড়ার থাউজেন্ড রিজন রয়েছে, কিন্তু ছাড়া যায় না!” সম্ভবত তার মধ্যে এই কারণটি ছিল না। চিনে (China) এক তরুণী রাতারাতি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, যেহেতু নিমন্ত্রণ করা সত্ত্বেও সহকর্মীরা তাঁর বিয়েতে আসেননি। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিয়েতে সহকর্মীরা আসেননি বলে যে কেউ অভিমান করে সংস্থার চাকরিই ছেড়ে দিতে পারেন, এমনটা অনেকেই ভাবতে পারছেন না।
তরুণীর নাম প্রকাশ করেনি চিনের ওই সংবাদমাধ্যম। তবে জানা গিয়েছে, বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পরেই রীতিমতো বিয়ের কার্ড দিয়ে অফিসের সমস্ত কর্মীকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন তিনি। প্রথম ভেবেছিলেন উচ্চপদস্থ কয়েকজন ও তাঁর ঘনিষ্টদেরই কেবল নিমন্ত্রণ করবেন। কিন্তু পরে মনে হয়, এই কাজ ঠিক হবে না, খারাপ দেখাবে। তাছাড়া দুঃখ পেতে পারেন কিছু সহকর্মী। অনেকেই হয়তো তাঁর আনন্দ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পাবেন বলে আশা করে বসে আছেন। তাই শেষ পর্যন্ত যে সংস্থার কর্মরত সেখানকার ৭০ জন কর্মীকেই নিমন্ত্রণ করেন।
কিন্তু বিয়ের সন্ধ্যায় যা ঘটে তা কোনওভাবেই আশা করতে পারেননি ওই তরুণী। দেখা যায় আমন্ত্রিত ৭০ জন সহকর্মীর মধ্যে কেবল একজন এসেছেন সেদিনের নিমন্ত্রণ রাখতে। এদিকে সহকর্মীদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য আলাদা করে ছ’টি টেবিল ঠিক করে রেখেছিলেন তরুণী। পরিবারকে বলে এলাহি খাবারের ব্যবস্থাও করেন। কিন্তু সহকর্মীরা না আসায় পরিবারের সদস্যদের সামনে চরম অস্বস্তিতে পড়েন তরুণী। অন্যদিকে নষ্ট হয় বিপুল পরিমাণ খাবারও।
গোটা ঘটনায় ভীষণ মন খারাপ হয় তরুণীর। এমনকী অভিমানে পরদিন সকালে অফিসে ঢুকেই কাজে ইস্তফা দেন তিনি। এইসঙ্গে সহকর্মীদের জানিয়ে দেন, গোটা অফিসকে নিমন্ত্রণ করা সত্ত্বেও বিয়েতে প্রায় কেউ আসেননি বলেই সংস্থার কাজ ছাড়ছেন। এদিকে তরুণী ইস্তফা দেওয়ায় বিরাট অস্বস্তিতে পড়েছেন সহকর্মীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.