ধীমান রায়, কাটোয়া: কথায় আছে, রাখে হরি তো মারে কে! পৃথিবীর আলো দেখার কথা তাদের ছিল না। পৃথিবীর আলো বাতাসের সংস্পর্শে আসার আগেই সুপ্তজীবন বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কী আশ্চর্য! প্রকৃতির কী অদ্ভুত খেলা। বিশ্বজুড়ে মহামারীর মাঝে নির্জন নিরিবিলি জায়গায় অবহেলায় অনাদরে সবার অলক্ষ্যে বিকশিত হয়ে উঠল কয়েকশো প্রাণের সমাহার। এটা একমাত্র সম্ভব ‘বিশ্ব বিধাতার’ ছুমন্তরে, এমনই বলছেন নেটিজেনরা।
লকডাউনের কারণে মুরগির বিক্রি অনেক আগেই বন্ধ। পণ্য পরিবহবণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুরগির ডিমের ব্যবসা বন্ধ। তাই পোলট্রি ফার্মে জমে যাওয়া কয়েকশো ডিম নির্জন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তার কয়েকদিন পরেই চমক। সেই ফেলে দেওয়া ডিমের রাশি থেকে জন্ম নিয়েছে কয়েকশো মুরগির ছানা। তারা রীতিমতো ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছে। রাশি রাশি ডিমের পাহাড় ভেদ করে গুটি গুটি পায়ে বেড়িয়ে আসছে সারি সারি বাচ্চা। রুখাশুখা এক নির্জন জায়গায় যেন প্রাণের বন্যা। এমনই একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যা দেখে নেটিজেনরা আপ্লুত। কিন্তু ভিডিওটি কোথা থেকে এবং কবে তোলা তা নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও এই ভিডিও দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা। হোয়াটসআ্যপে শেয়ার হয়ে চলছে। সকলেই বলছেন, প্রকৃতির ইচ্ছায় অসাধ্যসাধন হয়।
কিন্তু বাস্তবে কতটা সত্যতা রয়েছে এমন ঘটনার? পূর্ব বর্ধমান জেলার এক প্রাণী বিশেষজ্ঞ শঙ্খ ঘোষের কথায়, “বাইরে খোলা জায়গায় ডিমগুলি ফেলে দিয়ে আসার পর এভাবে আপনা আপনি বাচ্চা ফোটা সম্ভব নয়। একমাত্র কৃত্রিম উপায়ে ইনকিউবেটরে মুরগির বাচ্চা ফোটানো হয়। আমার মনে হয় কোনও ফার্মের ইনকিউবেটরে এই বাচ্চাগুলি জন্ম নেওয়ার পর সেগুলি ডিমের খোসা-সহ বাইরে লুকিয়ে ফেলে আসা হয়েছিল। পরে অন্যান্যদের নজরে পড়ে।” তবে এক্ষেত্রে কী হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.