সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাছের ডাল ভেঙেছে কিংবা ঝড়ে শিকড়সুদ্ধু উপড়ে গিয়েছে গাছ? চিন্তা করবেন না। শহরের যে কোনও জায়গায় ভেঙে পড়া গাছের সুশ্রুষার জন্য পৌঁছে যাবে অ্যাম্বুল্যান্স। ট্রি অ্যাম্বুল্যান্স। গাছেদেরও তো প্রাণ রয়েছে। তাই মানুষের সুশ্রুষার জন্য কিংবা আপদে-বিপদে যদি অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা যেতে পারে, তাহলে গাছেদের জন্য নয় কেন? নিশ্চয় রয়েছে। আর এহেন ভাবনা থেকেই চেন্নাইয়ে গাছেদের পরিষেবার জন্য শুরু হয়েছে এমন ব্যবস্থা। উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু সম্প্রতি সে রাজ্যে উদ্বোধন করলেন এই ট্রি অ্যাম্বুল্যান্সের।
[আরও পড়ুন: রেলের ওয়েবসাইট খুলেই অশালীন বিজ্ঞাপন, অভিযোগ দায়ের গ্রাহকের]
এই ভাবনা অবশ্য যার মস্তিষ্কপ্রসূত তাঁর নাম কে আবদুল ঘানি। পরিবেশ আন্দোলনকারী এই মানুষটির ভাবনাতেই প্রথম উঁকি মেরেছিল ট্রি অ্যাম্বুল্যান্সের বিষয়টি। এযাবৎকাল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ। আবার কখনও কখনও বা গগনচুম্বী বিল্ডিংয়ের নিমার্ণস্থলের মাঝখানে পড়ে যাওয়ার ‘অপরাধে’ কেটে ফেলা হচ্ছে তাদের। তাই নতুন গাছ লাগানোর পাশাপাশি এই ধরনের ভেঙে পড়া গাছকে তুলে নিয়ে গিয়ে আবার অন্যত্র কোথাও লাগানোর পরিকল্পনাতেই ট্রি অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্ভব। উল্লেখ্য, ভেঙে পড়া গাছ সরানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই গাছের একটা হিল্লে করাও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি এই অ্যাম্বুল্যান্স বিভিন্ন জায়গায় বয়ে নিয়ে বেড়াবে নানারকম গাছের বীজ। অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গেই থাকছেন দক্ষ মালি ও কর্মীরা। গাছ লাগানো যে কতটা জরুরি শহরের মানুষের মনে সেই সচেতনতার বীজরোপন করা এবং সচেতনতা বাড়াতেও সাহায্য করবেন ট্রি অ্যাম্বুল্যান্সের কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: জয়ের ‘পুরস্কার’, মন্ত্রিত্বের পথে দিলীপ-শান্তনু-কুনার হেমব্রম]
বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য একটু একটু করে ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী। সেই পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র গাছই। উদ্ভিদকে কিন্তু আদতে বসুন্ধরার ফুসফুসও বলা যেতে পারে। তবে, গাছের সংখ্যা যে হারে পৃথিবীতে কমছে, তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। গাছ কমে যাওয়ার ফলে বৃষ্টি কম হচ্ছে। মাটি আলগা হয়ে নামছে ধস। বাইরে পা রাখলেই যে দাবদাহ গরমে ঝলসে যেতে হয়, তারও কারণও পৃথিবীর বুক থেকে ধীরে ধীরে বনভূমি উধাও হয়ে যাওয়া। তাই যতটা পারুন গাছ রক্ষা করুন এবং অতি অবশ্যই গাছ লাগান। চেন্নাইয়ের এই অভিনব পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে পরিবেশপ্রেমীদের। দেশের সর্বত্রই যেন এহেন ব্যবস্থা চালু করা হয়, সেই দাবিও তুলেছেন অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.