সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারিদিকে লোকে লোকারণ্য। মেরেকেটে ৫০০ জন তো হবেই। আর তারই মাঝে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ২৪ বছর বয়সি এক যুবক। তবে একজনকে নয়, বিয়ে করলেন দু’দুজন মহিলাকে। দু’জনই নাকি তাঁর প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার (Bastar) জেলায়। বিয়ের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা। আর যুবকের কীর্তি দেখে তাজ্জব তাঁরা সক্কলে!
চন্দু মৌর্য নামে ওই যুবক জানান যে দুই তরুণীই তাঁকে ভালবাসেন। তাই তিনি কাউকেই ঠকাতে পারবেন না। অগত্যা দু’জনকেই একসঙ্গে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চন্দু এও জানান, দু’জনই তাঁর সঙ্গে সারাজীবন থাকতে রাজি। ফলে দুই স্ত্রী নিয়ে তাঁর বিবাহিত জীবন আরও সুন্দর হবে বলেই আশাবাদী ওই যুবক।
কিন্তু দুই তরুণীই কীভাবে তাঁর প্রেমে পড়ে গেলেন? সে এক গল্প বটে। একবার বস্তারের তোকপাল এলাকায় একটি ইলেকট্রিকের পোল লাগাতে যান চন্দু। সেখানে ২১ বছরের সুন্দরী কাশ্যপের প্রেমে পড়েন পেশায় দিনমজুর ও কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত যুবক। দু’জনে বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর গ্রাম তিক্রালঘনায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হাসিনা বাঘেল (২০) নামে অন্য এক তরুণীর প্রেমে পড়ে যান চন্দু। সেই টানও অগ্রাহ্য করতে পারেননি।
চন্দুর দাবি, তাঁর প্রেমিকা রয়েছে জেনেও হাসিনা তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে চায়। এরপর চন্দু তাঁর দুই প্রেমিকার মধ্যে আলাপ-পরিচয় করিয়ে দেন। তিনজন একসঙ্গে চন্দুর বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাসিনার পরিবারের লোকজন উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না সুন্দরীর তরফের কেউ। গত ৫ জানুয়ারি শাস্ত্রমতে বিয়ে হয় তিনজনের। প্রায় ৫০০ জন নিমন্ত্রিত উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। বিয়ের ভিডিও ও নিমন্ত্রণপত্র ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বেতুলে (Betul)। সেখানকার এক যুবক সন্দীপ উই গত বছর ৮ জুলাই একসঙ্গে বিয়ে করেন দুই মহিলাকে। দুই মহিলার মধ্যে একজন ছিলেন তাঁর প্রেমিক ও অন্যজন তাঁর বাবা-মায়ের পছন্দ করা পাত্রী। তিন পরিবারের সম্মতিতেই হয়েছিল সেই বিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.