ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও ডেঙ্গু (Dengue), কখনও ম্যালেরিয়া আবার কখনও শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা। তবে একের পর এক প্রত্যেক লড়াইতেই জিতে গিয়েছেন তিনি। তাতে কী? জীবনে কী আর লড়াইয়ের কোনও শেষ আছে? মনে হয় তা নেই। রাজস্থানে বসবাসকারী বিদেশি সমাজসেবীর জীবনও তার ব্যতিক্রম নন। তাই তো রোগমুক্তির কয়েকদিনের মধ্যে ভয়ংকর বিষধর সাপের ছোবল খান তিনি। তবে তাতেও হার মানেননি। পরিবর্তে যমে-মানুষের লড়াইয়ে জিতে সকলকে অবাক করে দিলেন তিনি।
কথা হচ্ছে রাজস্থানের আয়ান জোনসের। তিনি বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। মানুষের দুঃখ বরাবরই বড় কাঁদায় তাঁকে। তাই তো করোনা আতঙ্কে দরজা বন্ধ করে ঘরের কোণে বসেছিলেন না তিনি। পরিবর্তে সকলের পাশে দাঁড়াতে নানা কাজই করে যান। তারই ফাঁকে কখন যেন শরীরে থাবা বসায় ডেঙ্গু। তা সারতে না সারতেই ম্যালেরিয়ার (Malaria) কামড়। আর এই দুই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই দুর্বল শরীরকে কাবু করে ফেলে করোনা ভাইরাস। আবার শুরু হয় অসুস্থতা। তবে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যমে-মানুষের লড়াইয়ে জয়ী হন আয়ান জোনসই।
সপ্তাহদুয়েক আগে ফের বিপর্যয়। আচমকাই তাঁকে কামড় দেয় ভয়ংকর বিষধর সাপ (Snake)। তড়িঘড়ি যোধপুরের এক হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। সেই সময় চিকিৎসক ভেবেছিলেন আবারও হয়তো কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন আয়ান। পরীক্ষা করা হয়। তবে তাঁর নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। তবে ভয়ংকর বিষধর সাপের কামড় বেশ খানিকটা কাবু করে দিয়েছিল সমাজসেবীকে। চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়া এমনকী হাঁটতেও বেগ পেতে হচ্ছিল তাঁকে। সেই মতো চিকিৎসা শুরু হয়। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যান আয়ান। ওই ব্যক্তির মনের জোর অবাক করেছে চিকিৎসকদের। বাবা সুস্থ হয়ে যাওয়ায় খুশি আয়ানের ছেলে সেব জোনস। তিনি বলেন, “বাবা প্রকৃতই একজন যোদ্ধা।” আয়ানের জীবনযুদ্ধ নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। একথা জেনেই অবাক হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। রাখে হরি তো মারে কে, সেকথাও বলছেন কেউ কেউ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.