প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসুস্থ হয়ে পড়েছিল দু’টি মোষ (Buffalo) ও একটি বাছুর। কোনও মতেই খাড়া করে তোলা যাচ্ছিল না তাদের। অগত্যা খাটালের মালিক খবর দেন এক পশু চিকিৎসককে। চিকিৎসা করতে এসে সন্দেহ হয় তাঁর। শেষে তাঁরই সূত্রে খবর যায় পুলিশের কাছে। পরে পুলিশ হানা দেয় ওই খাটালে। আর উদ্ধার করে ৩৫ হাজার টাকার বেশি মূল্যের মদ (Alcohol)! জানা যায়, অবলা জীবগুলির শারীরিক অসুস্থতার পিছনেও ওই মদই।
ঠিক কী হয়েছিল? গুজরাটের গান্ধীনগরের বাসিন্দা দীনেশ ঠাকুর আচমকাই খেয়াল করেন তাঁর দু’টি মোষই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে এক প্রকার। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরতেও দেখা যাচ্ছে। প্রথমে একজন পশু চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর ওষুধেও কাজ হয়নি। বরং ক্রমেই লাফালাফি শুরু করে দেয় দু’টি মোষই। তাদের ধরে রাখাই দুষ্কর হয়ে উঠছিল। এরপর খবর দেওয়া হয় আরেক পশু চিকিৎসককে।
তিনিই প্রথম সন্দেহ করেন মোষগুলির এহেন লাফালাফি দেখে। তার উপরে খাটালে একটা বিশেষ গন্ধ পান তিনি। গন্ধটা খুব সন্দেহজনক। সেই গন্ধ আসছিল মোষদের জলের পাত্র থেকে। রংটাও কেমন হলুদ! জিজ্ঞেস করায় তাঁকে জানানো হয়, গাছের ডাল পড়ে গিয়ে ওই রং ধারণ করেছে। চিকিৎসক তখনকার মতো চলে গেলেও খবর দিয়ে দেন পুলিশে।
তল্লাশি শুরু করে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের। তারা উদ্ধার করে ১০১টি মদের বোতল। হুইস্কি, ভদকা-সহ নানা ধরনের মদই লুকিয়ে রাখা ছিল মোষের খড়বিচালির স্তূপের ভিতরে এবং জলের পাত্রে। পুলিশের অনুমান, কোনও ভাঙা বোতল থেকেই মদ মিশে গিয়েছে পাত্রে। আর তা খেয়েই শুরু মোষদের ‘মাতলামি’। এমন কাণ্ড ধরা পড়ার পর এবার মামলা দায়ের করা হয়েছে দীনেশ ঠাকুর ও তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.