Advertisement
Advertisement

Breaking News

Long Road Trip

ডিঙোলেন ১৬টি দেশ, ১৮৩০০ কিমি গাড়ি চালিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন ছেলে!

কঠিন পাহাড়, তীব্র শীত ডিঙিয়ে মায়ের কাছে ফিরলেন ছেলে।

British-Indian driver's Road Trip From London to Thane to meet his mother
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:June 25, 2024 8:11 pm
  • Updated:June 25, 2024 8:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবাসার মানুষের কাছে পৌঁছতে কী না করে মানুষ। সত্যি অথবা মিথ, মায়ের সঙ্গে দেখা করতে সাঁতরে উত্তাল নদী ডিঙিয়ে ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর! আর তিনি বীর, বীরজিৎ মুঙ্গাল মায়ের সঙ্গে দেখা করতে ১৬টি দেশ ডিঙোলেন, প্রতিকূল প্রকৃতির চ্যালেঞ্জ সামলে গাড়ি চালালেন ১৮ হাজার ৩০০ কিলোমিটার। দীর্ঘ যাত্রা ছিল লন্ডন থেকে ভারতের মহারাষ্ট্র অবধি। কেন এমন জার্নি?

লন্ডন নিবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বীরজিতের মা থাকেন মহারাষ্ট্রের থানেতে। সম্প্রতি একসঙ্গে দুই সংকল্প নেন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তরুণ। মায়ের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বিখ্যাত সিল্ক রুটে গাড়ি চালানোর ইচ্ছেপূরণে খানিক ঝুঁকি নিয়েই বেরিয়ে পড়েন তিনি। সেই সূত্রেই ডিঙোতে হয় লন্ডন থেকে থানের মধ্যবর্তী দীর্ঘ ১৮,৩০০ কিলোমিটার পথ। এযাত্রায় ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, চিন, তিব্বত, নেপাল, ভারত-সহ মোট ১৬টি দেশ অতিক্রম করেন বীরজিৎ।

Advertisement

 

Advertisement

[আরও পড়ুন: মার্কিন আদালতে ‘দোষী’ হতে রাজি, শর্ত মেনে ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ]

প্রায় সাড়ে আঠারো হাজার কিলোমিটার এই যাত্রার জন্য অফিস থেকে দু’মাসের ছুটি নেন ভারতীয় যুবক। সঙ্গী হন তাঁর বন্ধু রোশন শ্রেষ্ঠ। যদিও তিনি লন্ডন থেকে নেপাল পর্যন্ত ছিলেন। বাকি পথে একাই পাড়ি দেন বীরজিৎ। তিনি জানান, দিন গড়ে ৪০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার গাড়ি চালাতেন। কোনও কোনও দিন পরিস্থিতি বুঝে ১০০০ কিলোমিটার পথও গাড়ি চালিয়েছেন। তবে নিরাপত্তার কারণে রাতে গাড়ি চালাতেন না। বীরজিৎ বলেন, “সহজ ছিল না এই যাত্রা। বরফ, শীত, কোথাও কোথাও আবহাওয়া ছিল ভীষণই খারাপ।” যদিও দুর্গম পথে থমকে যাননি তিনি। ঠিক পৌঁছে গিয়েছেন মায়ের কাছে। ফিরবেনও কী এভাবেই?

 

[আরও পড়ুন: কেন বিয়ে করছেন না সলমন? সোনাক্ষীর বিয়ে হতেই মুখ খুললেন ভাইজানের বাবা]

না। বিমানে লন্ডনে ফিরবেন বীরজিৎ মুঙ্গাল। যে এসইউভি চালিয়ে তিনি এসেছেন, তা জাহাজের মাধ্যমে ব্রিটেনে পাঠিয়ে দেবেন। তবে আপাতত দীর্ঘ যাত্রার পর মায়ের স্নেহচ্ছায়ায় বিশ্রাম।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ