ছবি: সংগৃহীত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের ভিতরেই থাকে অতিমানব বা ‘সুপারম্যান’। শুধু শারীরিক সক্ষমতা নয়, মন-মানসিকতাতেও সুপার হতে হয় তাকে। নচেত সে অসহায়দের পাশে দাঁড়াবে কী করে! এই ভাবনার জীবন্ত উদাহরণ লিওনার্দো মুলার্ট। ৩৬ বছরের মুলার্টের ‘সুপারম্যান’ হয়ে ওঠার কাহিনি রীতিমতো চমকদার। ২০২২ সালে আচমকাই সাধারণ ‘ম্যান’ বা আমআদমি থেকে সুপারম্যান বা অতিমানব হয়ে ওঠেন তিনি।
৩৬ বছরের মুলার্টা সেবার সাওপাওলেতে প্রেমিকার সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। সেখানে তোলা তাঁর সুপারম্যানের পোশাক পরা ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সত্যি বলতে নিজের ছবি ভাইরাল হওয়ার কথা জানতেন না মুলার্ট। কারণ সেই ছবি অজান্তে তুলেছিলেন অন্য এক ব্যক্তি। এমনকী সেই সময় মুলার্টের কোনও সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও ছিল না। যদিও সিনেমার সুপারম্যান হলিউডের তারকা ক্রিস্টোফার রিভের সঙ্গে তাঁর আশ্চর্য মিল দেখে চমকে গিয়েছিল নেটপাড়া। ভাইরাল হয় একটি টিকটক ভিডিও। এর পরই নতুন জীবন শুরু হয়ে যায় মুলার্টের।
‘ব্রাজিলের সুপারম্যান’ বুঝতে পারেন, না চাইতে অনলাইনে হিরো হয়ে উঠেছেন তিনি। এই বিষয়ে মুলার্টের বক্তব্য ছিল, “অবাক হই জেনে যে অনেক মানুষ মনে করেন আমাকে সুপারম্যানের মতো দেখতে” শুরুতে অবাক হলেও পরে ‘সুপারম্যানের মতো’ চেহারাটাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে কাজে লাগান মুলার্ট। অনলাইন মাধ্যমে সুপারম্যানের পোশাক কিনে তা পরে দেশভ্রমণ শুরু করেন। দুঃখের এই পৃথিবীতে সুপারম্যান সেজে মানুষকে আনন্দ দেওয়াই হয়ে ওঠে ছয় সাত ইঞ্জি লম্বা মুলার্টের জীবনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আজ ব্রাজিলের শহর ও গ্রামে বহু হাসপাতাল, স্কুল এবং সেবামূলক অনুষ্ঠানে অংশ নেন লিওনার্দো মুলার্ট। হাসপাতালের রোগী থেকে, স্কুলের ছাত্র, এমনকী পথচলতি মানুষ হাতের কাছে ‘সুপারম্যান’কে দেখে চমকে যান। তার সঙ্গে ফটো তোলেন। এভাবেই অসংখ্য মানুষের জীবনে এক জানলা আনন্দের সুবাতাস বইয়ে দেন মুলার্ট। এমনকী আমন্ত্রণ পেয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হলেও এক পয়সা পারিশ্রমিক নেননি। অবশ্যি সেটাই স্বাভাবিক। সেই জন্যই তো লিওনার্দো মুলার্ট বাস্তবের ‘সুপারম্যান’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.