Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাস কনডাক্টার

ইচ্ছাশক্তিতে ভর করেই স্বপ্নপূরণ, ৮ ঘণ্টা কাজ করেও UPSC পাশ করলেন বাস কনডাক্টর

তাঁর অদম্য জেদ আর পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া।

Bangalore Bus Conductor cleared UPSC exam after working 8 hrs a day
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 29, 2020 4:36 pm
  • Updated:January 29, 2020 9:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন রূপকথার গল্প। অন্ধকার গলি থেকে সোজা রাজপথে আসার কাহিনি। ছোট্ট পরিবারের ছেলের রাজপুত্র হয়ে ওঠা কাহিনি। না, ভাগ্যজোরে বা ম্যাজিক করে নয়। প্রতিভা-একাগ্রতা আর ইচ্ছাশক্তি দিয়েই নিজের স্বপ্নপূরণ করেছেন বেঙ্গালুরুর মধু এনসি। তাঁর কাহিনি আজ হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রেরণা।

কে এই মধু এনসি? কী করলেন তিনি? তাঁর পরিচয়, তিনি সরকারি বাসের একজন কনডাক্টর। আর পাঁচটা কনডাক্টরের মতোই দিনের আটটা ঘণ্টা বাসেই কেটে যায়। যাত্রীদের টিকিট কাটেন দিনভর। কিন্তু বাড়িতে তিনি একজন মেধাবী ছাত্র। আর সেই মেধার জোরেই UPSC-র মূল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় সাফল্য।

Advertisement

UPSC পরীক্ষায় পাশ করে উঁচু পদে সরকারি চাকরির স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। কিন্তু সত্যি হয় গুটিকতকের। অসম্ভব ধৈর্য আর কঠোর পরিশ্রমের পরিচয় দিয়ে তবেই সেই স্বপ্নপূরণ করেন পড়ুয়ারা। আবার বছরের পর বছর প্রস্তুতি নিয়েও স্বপ্ন অধরা থেকে যায় অনেকের। কিন্তু বেঙ্গালুরুর এই বাস কনডাক্টার যা করে দেখালেন, তা নিঃসন্দেহে বিরল ঘটনা। প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করার পরও UPSC (Union Public Service Commission) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গোটা দেশকে চমকে দিয়েছেন তিনি। UPSC-র প্রস্তুতির জন্য রোজ পাঁচ ঘণ্টা সময় দিতেন। মনে বিশ্বাস ছিল, তিনি পারবেনই। আর সেই বিশ্বাসে ভর করেই UPSC সিভিল সার্ভিসেসের মূল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৯ বছরের যুবক। আগামী ২৫ মার্চ ইন্টারভিউ দিতে যাবেন তিনি।

[আরও পড়ুন: আইনে বদল! গর্ভপাতের উর্দ্ধসীমা বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ করার সুপারিশ কেন্দ্রের]

পরিবারের একমাত্র সদস্য হিসেবে মধুই স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। আর সেই সুযোগকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছেন। গত বছর জুনে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ করে পরিবারকে চমকে দিয়েছিলেন মধু। ফলাফলের তালিকায় রোল নম্বর মেলাতে গিয়ে নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। ঠিক দেখছেন তো? তারপর মূল পরীক্ষায় পাশের তাগিদটা আরও বেড়ে যায়। উচ্ছ্বসিত মধু বলেন, “চিরকালই জীবনে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখতাম। সংসারের পাশে দাঁড়াতে অল্প বয়সেই কাজে যোগ দিতে হয়েছিল। তবে তার জন্য লেখাপড়া বন্ধ করিনি। প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। এথিক্স, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অঙ্ক আর বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছি। ভোর চারটেয় উঠে পড়তে বসতাম। তারপর কাজে বেরিয়ে যেতাম। বাড়ি ফিরে আবার বই হাতে তুলে নিতাম।”

ইন্টারভিউতে সুযোগ পেলে কী করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মধু জানান, কনডাক্টরের কাজ থেকে আইএএস অফিসার হবেন। তাঁর অদম্য জেদ আর পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া।

[আরও পড়ুন: ‘রাস্তা ফাঁকা করো নইলে লোক মরবে’, শাহিনবাগে বন্দুক হাতে হুমকি দিয়ে ধৃত যুবক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement