সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ বলছেন অতিমানব, আবার কেউ বলছেন মহামানব। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ তাঁকে দেখতে আসছেন। কেউ কেউ আবার ভগবান জ্ঞানে পুজোও করছেন। অনেকে বলছেন, শিশুটি ঈশ্বরের অবতার। এককথায় এক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর জন্ম ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজস্থানের টঙ্কে। জন্মের পর দেখা যায় শিশুটির চারটি পা এবং তিনটি হাত। যা দেখে অবাক চিকিৎসকরাও।
এই শিশুটির জন্ম হয়েছে রাজস্থানের মালপুরা এলাকার একটি সরকারি হাসপাতালে। দিন কয়েক আগে প্রসব ব্যথা নিয়ে সেখানে ভরতি হন রাজস্থানের টংকের দাদাভাটা গ্রামের রাজুদেবী গুজরা। এই মহিলার মোট তিনটি সন্তান হয়। দুটি যমজ এবং একটি আলাদা। যমজ সন্তানদ্বয়ের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছেলেটি পুরোপুরি সুস্থ অবস্থায় জন্মায়। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে গোল বাঁধে। সন্তানটি একেবারেই স্বাভাবিক নয়। বরং বিকৃত বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। দেখা যায় দ্বিতীয় সন্তানটির মোট ৪ পা এবং ৩ হাত রয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাজুদেবীর আসলে তিনটি ভ্রুণ তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যে দুটি পরিণত হয়েছে। সেক্ষেত্রে তৃতীয় ভ্রুণটি মেয়েটির শরীরের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল। আর তার জন্যই মেয়ে শিশুটির চারটি পা এবং ৩ হাত গজিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মালপুরার মতো এলাকায় এমন ঘটনা বিরল। শিশুটিকে জয়পুরে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানেই সম্ভবত তার অস্ত্রোপচার করা হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, অপুষ্টি বা সঠিক সময়ে চিকিৎসার অভাবে অনেক সময় এই সমস্যা দেখা যায়। অসচেতনতাও এর একটা কারণ হতে পারে। আবার এমনও হতে পারে যে, অপুষ্টির অভাবে যমজ শিশুটির বৃদ্ধি সম্পন্ন হলেও, তৃতীয় সন্তানের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ হয়নি। তাই বিকৃত মনে হচ্ছে। আপাতত শিশুটিকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। এদিকে, এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকে শিশুটিকে ঈশ্বরের অবতার বলে বর্ণনা করছেন। তাঁকে নিয়ে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.