ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দু’হাজার পুরনো কবরস্থান। সেই কবরস্থান থেকে উদ্ধার একাধিক মমি। কিন্তু সেই মমিগুলোর (Mummy) একটির দিকে চোখ যেতেই চক্ষু চড়কগাছ প্রত্নতত্ত্ববিদদের। কারণ, উদ্ধার হওয়া মমিগুলোর মধ্যে একটির আসল জিভ নেই। তার জায়গায় রয়েছে সোনার তৈরি একটি জিভ। এছাড়া মমিটির সারা শরীরে সোনার গয়নাও ভরতি। আর এটা দেখার পরই প্রত্নতত্ত্ববিদদের প্রশ্ন মমিটি কার? সেই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। আপাতত এরকম দুটো মমি নিয়েই সেগুলোর বিষয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, সান্টো ডমিনিগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদদের একটি দল মিশর (Egypt) তাপোসিরিস মাগনা শহরের একটি মন্দিরে এই খননকার্যের সঙ্গে যুক্ত। যিশুর জন্মের ২৮০-২৭০ বছর আগে এই শহরে জনবসতি ছিল। সেই শহর লাগোয়া কবরস্থানেই ১৬টি মমি উদ্ধার হয়েছে। পুরাতত্ত্ব অনুযায়ী, মৃত্যুর দেবতা ওসিরিসের সঙ্গে যাতে মৃতেরা কথা বলতে পারেন, সেজন্যই এই রীতি মানা হত। যেখানে মৃতের আসল জিভের পরিবর্তে সোনার জিভ থাকে।
نجحت البعثة المصرية الدومينيكانية العاملة بمعبد تابوزيريس ماجنا بغرب الإسكندرية، في الكشف عن ١٦ دفنة في مقابر منحوتة
The Egyptian-Dominican mission, working at the Taposiris Magna Temple in western Alexandria, succeeded in discovering 16 burials in the rock-cut tombs pic.twitter.com/x6Yr7g1zo8— Ministry of Tourism and Antiquities (@TourismandAntiq) January 29, 2021
এর আগে গত বছরই মিশরের কায়রোর আরও দক্ষিণের সাক্কারা থেকে ৫৯টি মমি উদ্ধার হয়। মমিগুলি আড়াই হাজার বছর পুরনো। সেগুলিকে তিনটি কুয়োতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। এরপর সাংবাদিক বৈঠকে একটি কফিন (Coffin) খোলা হয়। দেখা যায়, সার্কোফাগির (মমির কফিনকে বলা হয় সার্কোফাগি) মধ্যে কাপড়ে জড়ানো রয়েছে দেহটি। সেই কাপড়ে উজ্জ্বল রঙে হায়ারোগ্লিফিক লিপিতে বেশ কিছু বাক্য লেখা রয়েছে। যার অর্থ এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সাক্কারার সমাধিক্ষেত্রে তিন হাজার বছর ধরে মৃতদেহ কবর দেওয়া হত। সাক্কারা মালভূমিতে অন্তত ১১টি পিরামিড রয়েছে, এগুলিতে রয়েছে কয়েকশো প্রাচীন কবর। বহু সম্রাট ও মিশরীয় আধিকারিকদের মমি রয়েছে এখানে। প্রসঙ্গত, সাক্কারা মিশরের প্রাচীন রাজধানী মেমফিসের গোরস্থানের একটি অংশ। এখানেই রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত গিজার পিরামিড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.