Advertisement
Advertisement
দিল্লি

শীতের কামড় থেকে যাত্রীদের বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ, ভাইরাল অটোচালকের কীর্তি

কী এমন করলেন অটোচালক?

An auto driver covered passenger seat by a plastic in winter
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 29, 2019 5:19 pm
  • Updated:December 29, 2019 5:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই নামছে নীচের দিকে। ইতিমধ্যেই শীতবুড়ি স্পর্শ করেছে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাত্রা। শীতে জবুথবু রাজধানী দিল্লি। আবার নিম্নমুখী তাপমাত্রার পারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শৈত্যপ্রবাহ। কাঁপছেন রাজধানীবাসী। নিতান্ত প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতে মন চাইছে না কারও।

এই পরিস্থিতিতে অটোয় করে যেতে গিয়ে হাড়কাঁপুনি ঠান্ডা লাগছে যাত্রীদের। তাই হুড়মুড়িয়ে কমছে অটোর যাত্রীসংখ্যা। কিন্তু অটো চালিয়ে যাঁর পেট চলে তাঁর কাছে যাত্রীসংখ্যা কমা মানেই বিপদ। তাই অটোয় উঠেও যাতে ঠান্ডা না লাগে সেই ব্যবস্থাই করলেন এক অটোচালক। তাঁর এই অভিনব উদ্যোগই এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। নিজে ঠান্ডায় কেঁপে অটো চালানোর পরেও যাত্রীদের জন্য এমন সুব্যবস্থা করায় তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।

Advertisement

সাধারণত অটোর চতুর্দিকই খোলা। তাই শীতে অটো চাপা মানে বিড়ম্বনা। তাও আবার দিল্লির শীতে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের উষ্ণতা দিতে অভিনব পন্থার আবিষ্কার করলেন অটোচালক। নিজে ঠান্ডায় অটো চালালেও যাত্রীদের বসার জায়গা প্লাস্টিক দিয়ে ঘিরে দেন। যাতে ঠান্ডা হাওয়া যাত্রীদের শরীর স্পর্শ করতে না পারে। তাতেই দিব্যি আরামে অটোয় চড়ে গন্তব্যে পৌঁচ্ছছেন যাত্রীরা। এক যাত্রীই প্রথম অটোচালকের এমন উদ্যোগকে স্মার্টফোন বন্দি করেন। নিজে হাতে তোলা ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেন। যত সময় যাচ্ছে সেই ভিডিও ততই জনপ্রিয় হচ্ছে নেটদুনিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ার ওই ভিডিওই এখন হটকেক। বেশিরভাগ নেটিজেনের টাইমলাইন দখল করে নিয়েছে ওই ভিডিও। বইছে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ারের বন্যা।

[আরও পড়়ুন: মালিকের গলা জড়িয়ে ধরে আদর পোষ্যের, ভালবাসার জোয়ারে ভাসছে নেটদুনিয়া]

যাত্রীদের কথা ভেবে অটোচালকের এই উদ্যোগে মন ভাল হয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের। সাধুবাদ জানাচ্ছেন প্রায় সকলেই। অনেকেই লিখছেন, “অটোচালক আমার হৃদয় জয় করে নিল। খুব সহজ পন্থায় দিল্লিবাসীকে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা থেকে বাঁচালেন ওই অটোচালক।” কেউ কেউ আবার লিখছেন, “ছোট্ট একটি প্লাস্টিকের আচ্ছাদনই সাধারণ মানুষকে শীত থেকে বাঁচাল।”

উল্লেখ্য, প্রায় ১১৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল শীত। টানা প্রায় ১৩দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ চলছে সেখানে। তার উপর আবার কুয়াশার দাপট। স্বাভাবিকভাবে কম দৃশ্যমানতা। তার ফলে বিমান এবং ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন অগণিত যাত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement