সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে করোনা ভাইরাসের দাপট আসলে আল্লাহর রোষের ফলে। চিনের কমিউনিস্ট সরকার উইঘুর মুসলিমদের উপর যে বেনজির অত্যাচার করছে, তাঁর ফলেই শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এমনটাই দাবি, ভারতের এক ইসলামিক ধর্মগুরুর। ইলিয়াস শাহরাফুদ্দিন নামের ওই মুসলিম ধর্মগুরু বলছেন, চিন সরকার উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে বলেই আল্লাহ ওদের এভাবে শাস্তি দিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সাবধান করেছেন। মুসলিমদের আক্রমণ করলে ভারতের হিন্দুরাও আল্লাহর রোষের মুখে পড়তে পারেন বলে হুঁশিয়ারি তাঁর।
ইলিয়াসের কথায়, “উইঘুরদের উপর অকথ্য অত্যাচারের শাস্তি হিসেবে আল্লাহই চিনে করোনা ভাইরাস পাঠিয়েছেন। মনে আছে, ওঁরা কীভাবে মুসলিমদের ভয় দেখাত। প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন নিয়ে ওঁরা ছিনিমিনি খেলেছে। মুসলিমদের জোর করে মদ্যপান করানো হয়েছে। মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো হয়েছে। ওঁরা ভেবেছিল ওদের কেউ আটকানোর নেই। কিন্তু, সর্বশক্তিমান আল্লাহ ওদের শাস্তি দিয়েছেন।”
উল্লেখ্য, চিনে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অন্তত ১৩টি শহর সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এতে আক্রান্ত। সরকারি হিসেবেই মৃত্যু হয়েছে শতাধিক। চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ক্রমেই মহামারীর আকার নিচ্ছে। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্ত হতে বাদ নেই ইউরোপ, আমেরিকাও। বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও।
এসবের মধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে খানিকটা হাস্যকরভাবেই উইঘুরদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ জুড়ে দিলেন এই ইসলামিক ধর্মগুরু। চিনে উইঘুরদের উপর অত্যাচারের খবর নতুন কিছু নয়। শিক্ষা দেওয়ার নামে তাঁদের ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ নিয়ে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার চালাচ্ছে চিনা প্রশাসন৷ এমনকী, ক্যাম্পগুলিকে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ আখ্যা দিয়ে, এদের স্বীকৃতিও দিয়েছে বেজিং৷ তবে এ তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র। অভিযোগ, জোর করে উইঘুর মুসলিমদের শরীর থেকে হৃদপিণ্ড, কিডনির মতো অঙ্গ বের করে নিচ্ছে চিন। প্রশাসনের দাবি, উইঘুর সম্প্রদায় অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতেই এই ডিটেনশন ক্যাম্পের ব্যবস্থা৷ এখানে বন্দিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও কম্যুনিস্ট পার্টির প্রতি আনুগত্যের পাঠ দেওয়া হয়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.