সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিশ্বকবি’ তো বরাবরই সর্বজনীন, বিশ্বজনীন। যুগ থেকে যুগান্তরে তিনি তাঁর পর্বতপ্রমাণ সৃষ্টির সম্ভার নিয়ে একমেবাদ্বিতীয়ম। দেশ-কাল-ভাষার সীমান্ত তো পেরিয়েছেন শতবর্ষ আগেই। এখনও বিশ্বের প্রতি প্রান্তেই কারও না কারও কণ্ঠে শোনা যায় রবিগান। হতেই পারেন তিনি রুশ কিংবা জার্মানি, অথবা আফ্রিকার (Africa)কোনও দরিদ্র দেশের নাগরিক। প্রাণের গান যে রবীন্দ্রসংগীতই (Rabindrasangeet)। তেমনই একজনের গাওয়া রবিগান আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral)। ‘মায়াবন বিহারিণী হরিণী’র সুরে মজেছেন নাইজেরিয়ান গায়ক জিয়াতা। তাঁর গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত শুনে আপ্লুত নেটিজেনরা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির শুরুতেই এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রয়েছে জিয়াতার (Giyata)। তাতে তিনি তাঁর রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষক ‘মোনালিজি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। খানিকটা ভাঙা ইংরাজিতে সেই বক্তব্য শুনলে মনে হওয়ার জো নেই যে এই ব্যক্তির কণ্ঠেই একটু পরে খেলা করবে ‘মায়াবন বিহারিণী হরিণী’র সুর। কিন্তু যেই না জিয়াতা কথা শেষ করে গানটি ধরলেন, ওমনি সব পালেট গেল নিমেষে! আসলে সুদূর আফ্রিকায় বসে জিয়াতা যে নিরন্তর রবিগানের চর্চায় মগ্ন। বাংলা উচ্চারণ নিয়ে বহু বাঙালিরই আত্মঅহমিকা রয়েছে। কবিগুরুর কথায়, সুরে নিখুঁত বাংলা উচ্চারণে তাঁদের সেই অহং যেন খানখান করে ভেঙে দিলেন বিদেশি জিয়াতা। এমন প্রাণঢালা, আত্মসমর্পিত কণ্ঠে গান!নেটিজেনরা বলছেন, বড়ই শ্রুতিমধুর।
জিয়াতার এই প্রতিভা সোশ্যাল মিডিয়ায় খুঁজে বের করেছিলেন জনৈক ব্যক্তি – আশিস স্যান্যাল। তাঁর ফেসবুক পাতা থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্যদের টাইমলাইনে। তারপর সকলের কাছে জিয়াতার সুমধুর কণ্ঠ পৌঁছে যেতে বেশি সময় লাগেনি। নাইজেরিয়ায় বসেই গোটা বিশ্বের কাছে রবিঠাকুরের গান পৌঁছে দিয়েছেন এই যুবক। গান শুনে বেশিরভাগই বাংলায় মন্তব্য করেছেন। কেউ বলেছেন, ‘অপূর্ব!’ কেউ বা লিখছেন – ‘দারুণ অনুভূতি’ কিংবা ‘সুন্দর লাগল’…এমনই সব মন্তব্যে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা। সংস্কৃতিমনস্ক বাঙালি জিয়াতাকে ‘বহিরাগত’ মনে করছেন না একেবারেই। উলটে সাদরে গ্রহণ করছেন তাঁকে পরমাত্মীয়ের মর্যাদায়। সামাজিক মাধ্যমে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া তারই ইঙ্গিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.