সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ে দেখতে ভাল। পড়াশোনাও করেছে। বাড়ির কাজকর্ম অল্পবিস্তর জানে। মেয়ে যেমন রাজি বিয়ে করতে, তেমন আবার মত রয়েছে পরিবারেরও। বিয়ের প্রস্তুতিতে কোনও ত্রুটি নেই। তা সত্ত্বেও বিয়ে হচ্ছে না বিহারের ভোজপুরের রতনপুর গ্রামের তরুণীদের। কারণ তাঁদের বিয়েতে বাধ সাধছে শুধুমাত্র একদল বাঁদর। ভাবছেন তো চারপেয়ে প্রাণীদের জন্য আবার কারও বিয়ে ভাঙতে পারে? কিন্তু এটাই বাস্তব। কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন আপনি।
পাটনা শহর থেকে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভোজপুরের রতনপুর গ্রাম। রাস্তাঘাট মোটের উপর মন্দ নয়। উন্নতির আলো এক্কেবারে পৌঁছায়নি, তাও বলা যাবে না। তবে এই গ্রামে মূল সমস্যা বাঁদর। প্রায়শই এলাকায় তাণ্ডব চালায় তারা। গ্রামবাসীদের কাছে ত্রাস বাঁদর। আঁচড়ানো, কামড়ানোর মতো অত্যাচারের ঘটনা লেগেই আছে। গ্রামের লোকেরা আতঙ্কে প্রায় কাঁটা হয়েই থাকেন। বুঝে শুনে পা ফেলেন গ্রামবাসীরা।
বাইরে থেকে আসা লোকজনেরা যদিও এত কিছু জানেন না। তাই আচমকাই গ্রামে এসে একবার হামলার শিকার হন একদল মানুষ। তাঁরা গ্রামে এসেছিলেন বরযাত্রী হিসাবে। হইচইয়ের ফলে বিরক্ত হয় বাঁদরেরা। একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়ে বরযাত্রীদের উপর। বাঁদরদের হামলায় পণ্ড হয়ে যায় বিয়ে। জখমদের তড়িঘড়ি ভরতি করা হয় হাসপাতালে। নিহত হন অনেকেই। ওই ঘটনার পর থেকে রতনপুর গ্রামে ছেলের বিয়ে দিয়ে আর বিপদ ডেকে আনতে চান না কেউই। তাই নিরুপায় অবস্থা কন্যাদায়গ্রস্ত বাবাদের। তাঁদের বক্তব্য, “কেউ বরযাত্রী নিয়ে আসতে রাজি হচ্ছেন না। তাই আমাদের মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। ওরা কুমারী থেকে যাচ্ছে।” বাঁদরের উৎপাতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাধ্য হয়ে বনদপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। কবে বাঁদরের কবল থেকে মুক্তি পায় গ্রাম, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.