সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট্ট বিড়ালছানা রাস্তায় একা পড়ে রয়েছে। দেখে কার না মায়া লাগে বলুন? আর পাঁচজনের মতোই আর্জেন্টিনার এক কিশোরীরও ওই বিড়ালছানাকে দেখে মন কেঁদে উঠেছিল। পোষ্য হিসাবে বাড়িতে রাখবে বলেই চোখের নিমেষে সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিল সে। সেই অনুযায়ী বাড়িতে আশ্রয়ও দিয়েছিল। কিন্তু একটু বড় হতেই বদলে গেল পোষ্যর রূপ। সাধের বিড়ালছানাই রূপ নিল হিংস্র জন্তুর। মনখারাপের সঙ্গে পোষ্যকে বিদায় দিল সে।
ঘটনার সূত্রপাত মাসখানেক আগে। একদিন আর্জেন্টিনার টুকম্যানের সান্টা রোজা দে লিলেস শহরের বাসিন্দা এক কিশোরী ভাইয়ের সঙ্গে বেড়াতে বেড়িয়েছিল। রাস্তার মাঝে ভাই-বোনের নির্ভেজাল গল্পের মাঝে কানে ভেসে আসে কাতর কান্না। ওই শব্দ শুনেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সে। গিয়ে দেখেন দু’টি বিড়ালছানার মতো প্রাণী। আগুপিছু না ভেবে তাদের বাড়িতে নিয়ে চলে আসে। তাদের খাইয়ে দেওয়া, যত্ন নেওয়া, নাম ঠিক করা এসব ভাবতে ভাবতেই কেটে যায় প্রায় দু’সপ্তাহ। ওই তরুণী শখ করে এই দু’টি প্রাণীর নাম দিয়েছিলেন টিটো এবং দানি। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে মারা যায় দানি। তবে টিটো দিব্যি বড় হচ্ছিল। তার খাওয়াদাওয়া, দুষ্টুমি সামলাতে সামলাতে দিব্যি দিন কাটছিল ওই প্রাণীটির। প্রচণ্ড দুষ্টু স্বভাবের টিটো আচমকাই পায়ে চোট পায়। মনখারাপ হয়ে যায় কিশোরীর। তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যায় পশু চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে অবাক হয়ে যান ওই তরুণী। কিন্তু কী এমন শুনল সে? চিকিৎসক জানিয়ে দেন, টিটোকে ঘরের আর পাঁচটি পোষ্য বিড়ালের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে। কারণ, সে আদতে বনবিড়াল বা পুমা গোত্রের পশু। ধীরে ধীরে সে যত বড় হবে ততই তার অন্যরকম আচরণ সকলের নজরে আসবে বলেই জানিয়ে দেন ওই পশু চিকিৎসক। তাই টিটোকে যে বাড়িতে রাখা মোটেও শ্রেয় নয়, তা জানিয়ে দেন তিনি।
পোষ্যকে বাড়িতে রাখতে পারবে না ভেবেই মনখারাপ হয়ে যায় কিশোরীর। আপাতত টিটো আর্জেন্টিনার অ্যানিম্যাল রেসকিউ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানেই রয়েছে। ওই সংস্থার তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় টিটোকে উদ্ধারের কাহিনি উল্লেখ করা হয়। ওই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। টিটোকে উদ্ধারের জন্য ওই কিশোরীর প্রশংসা করেছেন পশুপ্রেমীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.