সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্ধশতক পর নিজের শৈশবকে খুঁজে পেলেন প্রৌঢ়! খোঁজা সোজা ছিল না। ভালবাসার টানে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি দিতে হয়েছে। আসলে ছোটবেলায় যিনি সস্নেহে লালন পালন করেছিলেন, বড় হয়েও ৪৫ বছর পরে সেই আনাকে ভোলেননি স্পেনের (Spain) প্রৌঢ় বাসিন্দা। তাঁকে একবার চোখের দেখা দেখবেন বলেই স্পেন থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন সুদূর বলিভিয়ায় (Bolivia)। নিজের দীর্ঘ সেই যাত্রাপথের ভিডিও (Video Recording) করেছেন প্রৌঢ়। নিজেই তা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। সম্প্রতি যা ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে।
প্রৌঢ়ের নাম জানা যায়নি। তবে বৃদ্ধা পালক মায়ের নাম আনা, যিনি বলিভিয়ার বাসিন্দা। যদিও এক সময় তিনি আদর যত্নে বড় করে তুলেছিলেন বর্তমানে স্পেনের বাসিন্দা প্রৌঢ়কে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বাস, দূরপাল্লার ট্রেন ও বিমানে, এমনকী পায়ে হেঁটে ছোটবেলার আনার কাছে পৌঁছচ্ছেন প্রৌঢ়। ভিডিওর একদম শেষাংশে দেখা গিয়েছে বৃদ্ধা ‘মা’ অ্যানাকে। শুরুতে প্রৌঢ়কে দেখে চিনতে পারেননি বৃদ্ধা, যদিও নিজের পরিচয় দিতেই প্রৌঢ়কে চিনতে পারেন বৃদ্ধা। চেনামাত্র আবেগ বিহ্বল হয়ে ‘সন্তান’কে জড়িয়ে ধরেন। ৪৫ বছর পর যখন একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছেন ওঁরা, তখন চোখে ভিজে গিয়েছিল দু’জনেরই।
টুইটারে (Twitter) পোস্ট করা ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ৪৫ বছর পরে মানুষটি তাঁর ছোটবেলার সঙ্গীকে খুঁজে পেয়েছেন। আনা নামের এই মহিলা সত্যিই অসাধারণ। তিনি সন্তানের মতো এই ভদ্রলোককে লালনপালন করেছিলেন। অথচ, তাঁর নিজেরও সন্তান ছিল। এই ক্যাপশন ও ভালবাসার ভিডিও দেখে আবেগে ভাসছেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, “সত্যি পৃথিবী কত সুন্দর”।
After more than 45 years apart this man finds his former nanny named Ana. An incredible woman who took care of him as a child as if he were her own son. (🎥:juanitojonsson)
— GoodNewsCorrespondent (@GoodNewsCorres1) September 28, 2022
ভালবাসার টানে মানুষ কতটা ঝুঁকি নিতে পারে, তার একাধিক উদাহরণ দেখা গিয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে (Ukraine-Russia War)। ভয়ংকর যুদ্ধেও পরিবারের সদস্যের হাত ছাড়েনি বহু মানুষ। এমনকী পোষ্যকে বাঁচাতেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়েছেন অনেকে। আদতে যুদ্ধের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে মানুষগুলো। জয় হয়েছে ভালবাসার, সম্পর্কের। ৪৫ বছর পরে পালক মাকে খুঁজে বের করাও তেমনই এক ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.