সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন ঠিক ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর গল্প। শুধু ক্লাইম্যাক্সটাই যা আলাদা। কিন্তু বাকি গল্পটা প্রায় এক। স্ত্রীকে তার প্রেমিকের হাতে তুলে দিল স্বামী। এমন ঘটনা সেলুলয়েডের বাইরেও যে ঘটতে পারে, তা বোধহয় ভোপালের এই যুবকের ঘটনা না জানলে বিশ্বাস করা অসম্ভব হত।
ভোপালের সেই যুবকের নাম ধরা যাক মহেশ (নাম পরিবর্তিত)। সংগীতার (এক্ষেত্রেও নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের বৈবাহিক জীবন দীর্ঘ সাত বছরের। বিয়ের আগে সংগীতার সঙ্গে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরের বৈবাহিক জীবনে তার তিলমাত্র প্রভাব পড়তে দেননি সংগীতা। দুই সন্তানেরও জন্ম দেন তিনি। স্ত্রী ও মা হিসেবে খুঁটিনাটি দায়িত্ব করে যান। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু কয়েক বছর আগে পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হয় সংগীতার। তারপর থেকেই সুখ ক্রমশ কমতে থাকে মহেশ-সংগীতার জীবনে। স্ত্রী কেন এমন মনমরা হয়ে থাকেন খুঁজতে গিয়ে মহেশ জানতে পারেন সংগীতের পুরনো সম্পর্কের কথা। জানতে পারেন, সেই প্রেমিককে মেনে নিতে পারেননি সংগীতার বাবা। তাই পরিবারের চাপে পড়ে একসময় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র মহেশকে বিয়ে করতে কার্যত বাধ্য হন ফ্যাশন ডিজাইনার সংগীতা।
কিন্তু স্ত্রী এভাবে বাকি জীবনটা কাটাবেন, চাননি মহেশ। তাই তিনি তাঁর কাজ স্থির করে ফেলেন। মহেশ স্থির করেন, সংগীতেকে তিনি তাঁর সাত বছর আগের প্রেমিকের কাছে ফিরিয়ে দেবেন। যদি অন্য কারওর সঙ্গে সংগীতা ভাল থাকে, তো থাকুন। অসুবিধা কোথায়? আর সংগীতা? প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকে সংসারে অশান্তি বাড়তে থাকে তাঁক। তাই তাঁর মনে হয়, এভাবে নিত্যদিনের অশান্তির থেকে তো ভাল তিনি তাঁর সংসার ছেড়ে প্রেমিকের কাছে ফিরে যান।
ঘটনাটি যখন পারিবারিক আদালতের কাছে পৌঁছয়, তখন আদালত দু’জনকেই কাউন্সিলিংয়ের পরামর্শ দিয়েছিল। কাউন্সিলিংয়ের সময় মহেশ জানান, তিনি বারবার তাঁর স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সংগীতা পুরনো প্রেমিকের কাছে ফিরতে চান। সংগীতাও একই কথা বলেন। মহেশ এরপর আদালতকে জানান, তিনি চান না তাঁর আর সংগীকার সম্পর্কের প্রভাব তাঁদের সন্তানদের উপর পড়ুক। তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ডিভোর্সের পর মহেশ সন্তানদের তাঁর কাছে রাখার আবেদন জানিয়েছেন। সংগীতাও অসম্মত হননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.