Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভাইরাল হওয়ার লোভ! শিশুর মুখে ই-সিগারেট গুঁজে ভিডিও, গ্রেপ্তার যুবক

দোষ প্রমাণিত হলে ২০ বছরের জেল হবে যুবকের, জানিয়েছে পুলিশ।

A Man arrested for placing vape in baby's mouth for viral video in Malaysia | Sangbad Pratidin

প্রতীকী ছবি।

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:August 10, 2022 5:15 pm
  • Updated:August 11, 2022 9:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছু মানুষের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) হিরো হওয়া। যে কোনও শর্তে। সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেতে নিজের জীবন বাজি রাখতেও পিছপা হন না তাঁরা। সেই লোভে অন্যকে বিপদে ফেলা তো নেহাত ছোট ঘটনা। তেমনই ছোট কাজ করে গ্রেপ্তার হলেন মালোয়েশিয়ার (Malaysia) এক যবক। ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) করার লোভে শিশুর মুখে ই-সিগারেট (E Cigarette) গুঁজে দেন তিনি। ভিডিওটি বাস্তবেই ভাইরাল হয়। এবং বিপদে পড়েন তিনি।

মালোয়েশিয়ার উত্তর জোহোর বারু জেলার পুলিশ আধিকারিক আবেদ ওয়াহিদ জানিয়েছেন, বছর ২৩-এর যুবক এই কাজ করেছেন। এখন যাঁর নাম প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। বন্ধুর বোনের সন্তানের সঙ্গে এই কাজ করেন তিনি। ওই দিন বন্ধু ও বন্ধুর দুই বোনের সঙ্গে একটি রেস্তরাঁয় খেতে যান যুবক। সেখানে শিশুসন্তানের মুখে মজা করে একটি ই-সিগারেট চেপে ধরেন যুবক। ওই দৃশ্য ভিডিও রেকর্ড করে শিশুটির মাসি। পরে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। মুহূ্র্তে ভাইরাল হয় ভিডিওটি। কিন্তু বিতর্ক শুরু হয়। দুধের শিশুর মুখে ই-সিগারেট গুঁজে দেওয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে। সকলেই দায়িত্ব জ্ঞানহীন বলে দেগে দেয় যুবককে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: এভাবেও সুখ আসে! দাম্পত্যের ৫৪ বছর পর সন্তানের জন্ম দিলেন সত্তরের মা, উচ্ছ্বসিত ৭৫-এর বাবা]

ঘটনার সময় রেস্তরাঁয় উপস্থিত থাকলেও তাঁর সন্তানের মুখে ই-সিগারেট গুঁজে দেওয়ার কথা জানা ছিল না মায়ের। তিনি ভিডিওতে সেই কাণ্ড দেখেন এবং বেজায় রেগে যান। এরপরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন যুবকের বিরুদ্ধে। এবং অজ্ঞাতনামা ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ আধিকারিক আবেদ ওয়াহিদ জানিয়েছেন, গত ৮ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। দোষ প্রমাণিত হলে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ ২০ বছর অবধি জেল হতে পারে যুবকের। এইসঙ্গে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। এত কঠিন শাস্তির পরে কি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার লোভে উদ্ভট তথা ভয়ংকর কাণ্ড ঘটানো কমবে। মনস্তত্ত্ববিদরা বলছেন, তেমনটা এখনই হওয়ার নয়। একাধিক সামাজিক কারণে এই প্রবণতা ক্রমবর্ধমান বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement