সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লজ্জার বিষয়। তারচেয়ে বেশি হলে অস্বস্তির। বাতকর্ম নিয়ে এর বেশি গুরুত্বের প্রশ্ন ওঠে না। যদিও ইতিহাস অন্য কথা বলছে। সে এমন কথা, যা জানলে যে কেউ বাতকর্ম করার আগে দু’বার ভাববে। আসলে সামান্য এই শারীরিক ক্রিয়ার কারণে বেধে গেছিল মারাত্মক দাঙ্গা, মৃত্যু হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষের। কবে, কীভাবে এমনটা হল?
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায় ইহুদি ইতিহাসবিদ ফ্লেভিয়াস জোসেফাসের (Flavius Josephus) লেখা ‘ওয়ার অব দ্য জিউস’ (The Jewish War) গ্রন্থে। সেটা ৪৪ খ্রিস্টাব্দ। জেরুজালেমের মাটিতে ঘটে ভয়ংকর ইহুদি-রোমান দাঙ্গা (Roman Jews Riot)। মনে করা হয় ওই দাঙ্গায় মৃত্যু হয়েছিল ১০ হাজার মানুষের। যার শুরুটা নাকি হয়েছিল এক রোমান সেনার উসকানিমূলক বাতকর্মে। ইতিহাসবীদ জোসেফাস এমনটাই জানিয়েছেন।
মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত। না হলে ঘটে যেতে পারে অকল্পনীয় ঘটনা। যেমনটা ঘটেছিল জেরুজালেমে। তার কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে হেরোদিয়ান রাজবংশের শেষ রাজা হেরোদ অ্যাগ্রিপ্পার। আর ঘটনার সময় চলছিল ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব ‘পাসওভার’ বা ‘নিস্তার পর্ব’। শহরের একটি ধর্মীয় স্থানে তখন পূণ্যার্থীদের বিরাট ভিড়। সেখানেই গোলমাল বাধান এক রোমান সেনা। তিনি ওই ধর্মীয় স্থানের ছাদে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। হঠাৎই পিছন ঘুরে দাঁড়িয়ে সশব্দে বাতকর্ম করেন ওই সেনা।
ইতিহাসবিদ ফ্লেভিয়াস জোসেফাসের বক্তব্য, স্বাভাবিক বাতকর্ম করেননি রোমান সেনা। তাঁর ভঙ্গিমায় ছিল ইহুদিদের প্রতি তীব্র ব্যঙ্গ। এমনকী ওই কাজ করার পর তিনি ধর্মীয় স্থানে উপস্থিত ইহুদিদের কটুক্তিও করেন। যাতে ধরা পরে তার ‘ইহুদি-বিদ্বেষ’। স্বভাবতই ইহুদিরা তাদের ধর্মের প্রতি এতখানি অশ্রদ্ধা মেনে নিতে পারেননি। তারা ধর্মীয় স্থানের নীচ থেকেই ওই নিরাপত্তারক্ষীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন।
ফ্লেভিয়াসের বক্তব্য, এই ঘটনা থেকেই শুরু হয়েছিল ইহুদি সাধারণ জনতা ও রোমান সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। যা ওই ধর্মীয় স্থানের মধ্যেই আটকে থাকেনি। ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেরুজালেমে। কারণ রোমান প্রোকিউরেটর কিউমানাসের নির্দেশে রোমান সেনা শুরু করে ইহুদি নিধন যজ্ঞ। জোসেফাসের বক্তব্য, জেরুজালেম শহর জুড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল নাকি পালাতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে। সবটার পিছনে কারণ কী?
এক রোমান সৈনিকের বাতকর্ম!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.