Advertisement
Advertisement
Bihar Dalit boy

নুন আনতে পান্তা ফুরোয় বাবার, ২ কোটির স্কলারশিপ পেয়ে আমেরিকায় পড়তে যাচ্ছে দলিত কিশোর

গোটা বিশ্বে এই স্কলারপশিপ পেয়েছে মাত্র ছ'জন।

A Dalit boy earn Rs 2.5 crore scholarship to study in US | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:July 10, 2022 6:32 pm
  • Updated:July 10, 2022 6:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই হয়তো বলে অন্ধকার থেকে আলোর উড়ান। যে অবস্থানেই থাকুন একজন মানুষ, তাঁর ইচ্ছেশক্তির উপরেই সম্ভবত নির্ভর করে ভবিষ্যত যাত্রা। বাবা দিনমজুর। দলিত পরিবারটির প্রকৃত অর্থেই নুন আনতে পান্তা ফুরোয় আর্থিক অবস্থা। সেই পরিবারের ছেলে কিনা উচ্চশিক্ষার জন্য যাচ্ছে আমেরিকার (America) পেনসিলভেনিয়া (Pennsylvania) শহরে, পৃথিবীর অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণেই বিদেশ পড়তে যাচ্ছে মেধাবী ছাত্রটি। আশ্চর্য কাণ্ড করে পরিবার, আত্মীয়, সমাজকে চমকে দিয়েছেন বিহারের (Bihar) প্রেম কুমার।

বিহারের ফুলওয়ারশরিফের ছোট্ট গ্রাম গোনপুরার বাসিন্দা বছর সতেরোর প্রেম কুমার। ক্লাস টুয়েলভের ছাত্র। এই প্রেমই অসাধ্য সাধন করেছে। জিতে নিয়েছে ২.৫ কোটি টাকার বিখ্যাত ‘ডায়ার ফেলোশিপ’ (Dyer Fellowship) স্কলারশিপ। গোটা পৃথিবী থেকে বাছাই করা ৬ জন ছাত্রের অন্যতম সে। সেই সূত্রেই পেনসিলভেনিয়া যাচ্ছে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস নিয়ে পড়বে পেনসিলভেনিয়ার লাফায়েটি কলেজে (Lafayette College)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাত্রের গায়ের রং বড্ড কালো! দু’পাক ঘোরার পরই বিয়ে ভাঙলেন কনে]

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, গোটা পৃথিবী থেকে বাছাই করা সেরা ছাত্রদের অন্যতম ভারতের প্রেম কুমার। তাঁর যোগ্যতাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বেশকিছু দিন আগেই লাফায়েটি কলেজের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রেমকে। সেখানে কলেজের অধ্যক্ষ ম্যাথু এ হাইড লেখেন, “অভিনন্দন আপনাকে, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সেবার বিষয়ে আপনার প্রতিশ্রুতি ও সংকল্পকে স্বীকৃতি জানাতে পেরে আমরাও অনুপ্রাণিত।”

[আরও পড়ুন: ‘ছোট চোখের প্রচুর সুবিধা’, নিম্নরুচির কটাক্ষের জব্বর জবাব, ভাইরাল নাগা মন্ত্রীর ভিডিও]

উল্লেখ্য, ১৪ বছর বয়সেই প্রেমকে মেধাবী ছাত্র হিসেবে চিহ্নিত করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ডেক্সটেরিটি গ্লোবাল। প্রতিষ্ঠানটি প্রেমকে পঠনপাঠনে নানভাবে সাহায্য করে। সেই সূত্রেই এতবড় সাফল্য দাবি কিশোরের। তাঁর কথায়, “মা-বাবা কোনওদিন স্কুলে যাননি। আমার এই প্রাপ্তি অবিশ্বাস্য।” প্রেম আরও বলে, “ডেক্সটেরিটি গ্লোবাল, যারা বিহারে মহাদলিত শিশুদের জন্য কাজ করে, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাদের জন্যই স্বপ্ন সফল হয়েছে। আমি খুব খুশি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement